নোভেল করোনাভাইরাসের জেরে বিশ্ব জুড়ে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। এই পরিস্থিতির জন্য এ বার সরাসরি চিনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাইরে থেকে এই ভাইরাস আমেরিকায় ঢুকেছে বলে এর আগেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তবে এ বার প্রাণঘাতী এই ভাইরাসকে সরাসরি ‘চিনা ভাইরাস’ বলেই দাগিয়ে দিলেন তিনি। তাঁর এই মন্তব্যে চিন-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন করে সঙ্ঘাতের আবহ তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা কূটনীতিবিদদের।
শুরুতে নোভেল করোনার প্রকোপকে তেমন আমল দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু গত কয়েক দিনে মার্কিন মুলুকে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে। প্রাণ হারিয়েছেন ৮৭ জন। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করতে হয়েছে। নিজেও ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছেন ট্রাম্প। আর তার পরেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া নিয়ে যাবতীয় গড়িমসির অভিযোগ ঝেড়ে ফেলতে উদ্যত হয়েছেন তিনি।
নভেল করোনার প্রকোপ ঠেকাতে সম্প্রতি বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে মার্কিন সরকার। ইউরোপীয় নাগরিকদের আমেরিকা ভ্রমণ সাময়িক ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাতে একাধিক বিমান সংস্থা ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী দিনে অন্যান্য শিল্পক্ষেত্রও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন অর্থনীতিবিদরা। তা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়েই সোমবার চিনকে নিশানা করেন ট্রাম্প। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘চিনা ভাইরাসের প্রকোপে বিমানসংস্থা-সহ আর যে যে শিল্পগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আগামী দিনেও মার্কিন সরকার তাদের পাশে থাকবে।’’