চিনে কত মানুষ আক্রান্ত, তার সঠিক পরিসংখ্যান এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। ফাইল চিত্র ।
ডিসেম্বরের প্রথম ২০ দিনে চিনে প্রায় ২৫ কোটি মানুষ মানুষের করোনা আক্রান্ত হবেন! সে দেশের শীর্ষ আধিকারিকরা নাকি এমনটাই ধারণা করেছিলেন। শুক্রবার এমন তথ্য উঠে এল সংবাদমাধ্যম ‘ব্লুমবার্গ নিউজ’ এবং ‘দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস’-এর প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনগুলির দাবি, দেশের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা আগেভাগে অনুমান করেছিলেন ডিসেম্বরের প্রথমে ‘করোনা বিস্ফোরণ’ হতে পারে সে দেশে। আর সেই সংখ্যা নাকি ২৫ কোটি ছাড়াবে। আর সেই কারণেই নাকি সাধারণের প্রতি কড়া হয়েছিল প্রশাসন।
চিনে কত মানুষ আক্রান্ত, তার সঠিক পরিসংখ্যান এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তবে যদি এই পরিসংখ্যান সত্যি হয়, তা হলে সে দেশের প্রায় ১৮ শতাংশ মানুষ এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত।
বুধবার চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন (এনএইচসি)-এর একটি অভ্যন্তরীণ বৈঠকের সময় নাকি এই আক্রান্তের পরিসংখ্যান নিয়ে কথা বলা হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এনএইচসির বুধবারের বৈঠকের সারাংশ, করোনার নতুন প্রাদুর্ভাবে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার দিকে আরও মনোযোগী হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিকিৎসকদের।
শুক্রবার, এনএইচসি-র বৈঠকের আলোচ্য বিষয় সংক্রান্ত একটি অনুলিপি চিনের সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আর সেখান থেকেই নাকি এই যাবতীয় তথ্য সংবাদমাধ্যমের হাতে উঠে এসেছে (যদিও আনন্দবাজার অনলাইন সেই অনুলিপির সত্যতা যাচাই করেনি)। এনএইচসি আধিকারিকদের এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলেও তাঁরা এই বিষয়ে কিছু জানাননি।
সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে যে, চিনে নাকি প্রতি দিন কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন ৩ কোটির বেশি মানুষ। এই তথ্য সত্যি হলে এক দিনে কোভিড সংক্রমণের নিরিখে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে চিন।
প্রসঙ্গত, শীত পড়তেই চিনে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনার নতুন উপরূপ বিএফ.৭ কব্জা করছে চিনকে। ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়ে সে দেশে অনেকে মারা গিয়েছেন। পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy