প্রেমের প্রস্তাব নাকচ করায় সহকর্মীর প্রেমিককে খুন!

সহকর্মীর প্রতি অনুরাগ ছিল তাঁর। চেয়েছিলেন প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু, বহু আবেদন নিবেদনেও কাজ হয়নি। ব্যর্থ প্রেমের প্রতিশোদ শেষে সেই সহকর্মীর প্রেমিককে খুন করে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন কেভিন প্রসাদ নামের এক ব্যক্তি।

পুলিশের সন্দেহ, ‘পথের কাঁটা’ সরাতেই মহিলার প্রেমিককে খুন করেছেন ওই যুবক। ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে ওই মহিলার সঙ্গে কাজ করতেন কেভিন। অভিযোগ পেয়েই কেভিন ও তাঁর এক বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গত ২৫ এপ্রিল একটি গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন ওই মহিলা এবং তাঁর প্রেমিক বছর একত্রিশের মার্ক ম্যানগাকাট। সান মাতেও কাউন্টি এলাকায় তাঁদের বাড়িতে গাড়ি ঢোকামাত্র হুডার পরা এক ব্যক্তি মার্কের উপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। পর পর ছ’টি গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় মার্কের দেহ। তবে ওই মহিলা প্রাণে বেঁচে যান। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। একের পর এক ব্যক্তির বয়ান রেকর্ড করা শুরু হয়। মার্কের সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা ছিল না বলে জানিয়েছেন কাউন্টি পুলিশের আইনজীবী স্টিভ ওয়াগস্টাফ। সে সময় কেভিনের উপর সন্দেহ হয়নি পুলিশের।

আরও পড়ুন
সিঙ্গল? অ্যাকাউন্টধারীদের জন্য ডেটিং পরিষেবা চালু করছে ফেসবুক

সন্দেহ হয়নি ওই মহিলারও। তবে পুলিশের কাছে নিজের বয়ানে হঠাৎ ওই মহিলা জানিয়েছিলেন, মাস কয়েক ধরেই কেভিন তাঁকে ডেটিং-এ যাওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে। সেই প্রস্তাবে রাজি করাতে এক বার তাঁকে উপহার হিসেবে জুয়েলারিও দিয়েছিলেন। তবে বরাবরই কেভিনের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন তিনি। পুলিশের কাছে বয়ানে তিনি জানিয়েছিলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই প্রেমিকের সঙ্গে রয়েছেন। তাঁদের একটি তিন বছরের সন্তানও রয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও নাছোড়বান্দা ছিল কেভিন। তবে, কেভিন তাঁর কোনও সর্বনাশ করবেন, তা আঁচ করতে পারেননি তিনি।

আরও পড়ুন
আমাকে দত্তক নাও! শেষ ইচ্ছে ছিল ৮৫ বছরের হানের

এর পরেই কেভিনকে নিয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। বয়ানের ওই সূত্র ধরেই শেষমেশ পুলিশের জালে পড়ে কেভিন। স্টিভ জানিয়েছেন, ২৫ এপ্রিল ওই মহিলা কেভিনকে বলেছিলেন তিনি মার্কের সঙ্গে পাকাপাকি ভাবে লাস ভেগাসে চলে যাচ্ছেন। কেভিন তখন তাঁকে সেখানে যেতে বারণ করে। পরের দিন প্রায় আট মাইল ওই মহিলা এবং তাঁর প্রেমিকের গাড়ির পিছু ধাওয়া করে কেভিন ও তাঁর বন্ধু ডোনোভান ম্যাথু রিভেরা। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ গাড়ি মহিলার বাড়ির গ্যারাজে ঢোকামাত্রই মার্কের উপর হামলা করে কেভিন।

মহিলার বয়ান রেকর্ডের পর পরের দিন খুনের অভিযোগ কেভিন এবং তাঁর বন্ধুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, রাগের বশে নয়, নিজের বন্ধুর সঙ্গে রীতিমতো পরিকল্পনা করেই ওই খুন করেছে কেভিন।