Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Global warming

উষ্ণায়নের ভয়ঙ্কর ফল, দিকে দিকে তৈরি হচ্ছে ‘ভূত জঙ্গল’!

বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে দিকে দিকে যে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে তার মধ্যে অন্যতম হল জলবায়ুর পরিবর্তন। বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রধান কারণ গ্রিন হাউস গ্যাসের প্রভাব, ওজোন স্তরের ক্ষয় এবং অরণ্য ছেদন।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৯ ১৭:২৯
Share: Save:
০১ ১২
বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে দিকে দিকে যে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে তার মধ্যে অন্যতম হল জলবায়ুর পরিবর্তন। বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রধান কারণ গ্রিন হাউস গ্যাসের প্রভাব, ওজোন স্তরের ক্ষয় এবং অরণ্য ছেদন।

বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে দিকে দিকে যে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে তার মধ্যে অন্যতম হল জলবায়ুর পরিবর্তন। বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রধান কারণ গ্রিন হাউস গ্যাসের প্রভাব, ওজোন স্তরের ক্ষয় এবং অরণ্য ছেদন।

০২ ১২
জলবায়ুর গতিবিধি অনবরত পরিবর্তনের জন্য বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন উপকূলে তৈরি হচ্ছে মৃতপ্রায় উদ্ভিদ, যাদের বলা হচ্ছে 'ডেড ট্রি'। আর এর থেকেই তৈরি হচ্ছে 'ঘোস্ট ফরেস্ট'।

জলবায়ুর গতিবিধি অনবরত পরিবর্তনের জন্য বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন উপকূলে তৈরি হচ্ছে মৃতপ্রায় উদ্ভিদ, যাদের বলা হচ্ছে 'ডেড ট্রি'। আর এর থেকেই তৈরি হচ্ছে 'ঘোস্ট ফরেস্ট'।

০৩ ১২
উষ্ণায়নের ফলে বিষুবীয় ও উত্তর মেরু অঞ্চলের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ছে। জমে থাকা বরফ গলে সমুদ্রের জলস্তর বাড়াচ্ছে। বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, যত দিন যাচ্ছে, তত এই বরফ গলার পরিমাণ বাড়ছে।

উষ্ণায়নের ফলে বিষুবীয় ও উত্তর মেরু অঞ্চলের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ছে। জমে থাকা বরফ গলে সমুদ্রের জলস্তর বাড়াচ্ছে। বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, যত দিন যাচ্ছে, তত এই বরফ গলার পরিমাণ বাড়ছে।

০৪ ১২
আটলান্টিক উপকূলে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানকার মাটি অনুর্বর প্রকৃতির। তাই নতুন ভাবে কোনও উদ্ভিদ জন্মানো সম্ভব হচ্ছে না। অন্যান্য যে সব গাছ রয়েছে তারাও আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে।

আটলান্টিক উপকূলে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানকার মাটি অনুর্বর প্রকৃতির। তাই নতুন ভাবে কোনও উদ্ভিদ জন্মানো সম্ভব হচ্ছে না। অন্যান্য যে সব গাছ রয়েছে তারাও আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে।

০৫ ১২
এই অঞ্চলে জলাজমিতে গাছ মরে যাওয়ার কারণ হল মাটিতে এই নুনের পরিমাণ। ঠিক মতো জল না পাওয়ার দরুন গাছগুলো মরে যাচ্ছে। এই সব অঞ্চলে বন্যার পরে যা অবশিষ্ট থাকে, সেখান থেকে তৈরি হয় 'ঘোস্ট ফরেস্ট'।

এই অঞ্চলে জলাজমিতে গাছ মরে যাওয়ার কারণ হল মাটিতে এই নুনের পরিমাণ। ঠিক মতো জল না পাওয়ার দরুন গাছগুলো মরে যাচ্ছে। এই সব অঞ্চলে বন্যার পরে যা অবশিষ্ট থাকে, সেখান থেকে তৈরি হয় 'ঘোস্ট ফরেস্ট'।

০৬ ১২
১২০ বছর আগে ফ্লোরিডার উপকূলে ৫৭ বর্গ মাইল জুড়ে যে সমস্ত গাছ ছিল, তারাও একই ভাবে নোনা জলাভূমির প্রকোপে ঘোস্ট ফরেস্টে পরিণত হয়েছে।

১২০ বছর আগে ফ্লোরিডার উপকূলে ৫৭ বর্গ মাইল জুড়ে যে সমস্ত গাছ ছিল, তারাও একই ভাবে নোনা জলাভূমির প্রকোপে ঘোস্ট ফরেস্টে পরিণত হয়েছে।

০৭ ১২
'উইলিয়াম অ্যান্ড মেরি'স ভার্জিনিয়া ইনস্টিটিউশন অব মেরিন সাইন্স'-এর অধ্যাপক ম্যাথিউ কিরওয়ানের বক্তব্য, ঘোস্ট ফরেস্ট হল জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ ফল। কিরওয়ান জমি, উদ্ভিদ এবং তাদের উপর উষ্ণায়নের প্রভাব নিয়ে পরীক্ষা করছেন। তাঁর মতে, এর ফলে গাছের কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে।

'উইলিয়াম অ্যান্ড মেরি'স ভার্জিনিয়া ইনস্টিটিউশন অব মেরিন সাইন্স'-এর অধ্যাপক ম্যাথিউ কিরওয়ানের বক্তব্য, ঘোস্ট ফরেস্ট হল জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ ফল। কিরওয়ান জমি, উদ্ভিদ এবং তাদের উপর উষ্ণায়নের প্রভাব নিয়ে পরীক্ষা করছেন। তাঁর মতে, এর ফলে গাছের কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে।

০৮ ১২
বনভূমি উষ্ণায়ন প্রতিরোধে সাহায্য করে। পরিবেশে বসবাসকারী প্রত্যেকটি জীবের মধ্যে সমতা বজায় রাখে। বিজ্ঞানীদের মতে, এই ভাবে যদি নোনা জলাভূমির ভাগ বাড়তে থাকে, তা হলে দ্রুত অরণ্যের বিনাশ ঘটবে।

বনভূমি উষ্ণায়ন প্রতিরোধে সাহায্য করে। পরিবেশে বসবাসকারী প্রত্যেকটি জীবের মধ্যে সমতা বজায় রাখে। বিজ্ঞানীদের মতে, এই ভাবে যদি নোনা জলাভূমির ভাগ বাড়তে থাকে, তা হলে দ্রুত অরণ্যের বিনাশ ঘটবে।

০৯ ১২
যে ভাবে ঘোস্ট ফরেস্টের সংখ্যা বেড়ে চলেছে, মাটিতে নুনের পরিমাণ বাড়ছে, তাতে জলাজমিতে নতুন ভাবে উদ্ভিদ জন্মানোর সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে। পরেও এই মাটিতে কোনও কাজ করা যাবে না বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।

যে ভাবে ঘোস্ট ফরেস্টের সংখ্যা বেড়ে চলেছে, মাটিতে নুনের পরিমাণ বাড়ছে, তাতে জলাজমিতে নতুন ভাবে উদ্ভিদ জন্মানোর সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে। পরেও এই মাটিতে কোনও কাজ করা যাবে না বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।

১০ ১২
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯৭ সালে হওয়া প্রবল ঘুর্ণিঝড়ে অরেগন উপকূল ধ্বংস হয়ে যায়। এর নাম দেওয়া হয় নেসকোয়িন 'ঘোস্ট ফরেস্ট'। বিজ্ঞানীদের মতে, ১৭০০ সালে ভূমিকম্পের জন্য এই অঞ্চলের বিরাট অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গাছপালা নষ্ট হয়ে যায়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯৭ সালে হওয়া প্রবল ঘুর্ণিঝড়ে অরেগন উপকূল ধ্বংস হয়ে যায়। এর নাম দেওয়া হয় নেসকোয়িন 'ঘোস্ট ফরেস্ট'। বিজ্ঞানীদের মতে, ১৭০০ সালে ভূমিকম্পের জন্য এই অঞ্চলের বিরাট অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গাছপালা নষ্ট হয়ে যায়।

১১ ১২
দু'হাজার বছর আগে নেস্কোয়িন ঘোস্ট ফরেস্টে যে সব গাছ ছিল, তাদের উচ্চতা ছিল ১৫০ থেকে ২০০ ফুট। কিন্তু ভূমিকম্প পরবর্তী সময় যে সব উচ্চতা দাঁড়ায় মাত্র দু'ফুট। ভবিষ্যতেও এই অঞ্চলে ভুমিকম্পের মতো বড় বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

দু'হাজার বছর আগে নেস্কোয়িন ঘোস্ট ফরেস্টে যে সব গাছ ছিল, তাদের উচ্চতা ছিল ১৫০ থেকে ২০০ ফুট। কিন্তু ভূমিকম্প পরবর্তী সময় যে সব উচ্চতা দাঁড়ায় মাত্র দু'ফুট। ভবিষ্যতেও এই অঞ্চলে ভুমিকম্পের মতো বড় বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

১২ ১২
ম্যাথিউ কিরওয়ান-এর দাবি, উষ্ণায়নের প্রভাবে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘোস্ট ফরেস্টের সংখ্যা আরও বাড়বে। এই অঞ্চলে নতুন গাছ বসানো হলেও তেমন লাভ হবে না বলেও দাবি করেছেন তিনি।

ম্যাথিউ কিরওয়ান-এর দাবি, উষ্ণায়নের প্রভাবে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘোস্ট ফরেস্টের সংখ্যা আরও বাড়বে। এই অঞ্চলে নতুন গাছ বসানো হলেও তেমন লাভ হবে না বলেও দাবি করেছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE