Advertisement
E-Paper

হামলার পিছনে কে, ধন্দে পুলিশ

সরকারি সূত্রে আজ জানানো হয়েছে, গত কালের হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৩০৫ জনের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। নিহতদের মধ্যে ২৭টি শিশুও রয়েছে বলে আজ হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৪২
জঙ্গি হামলার পরে গোটা মসজিদে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে মৃতদেহ। ফাইল চিত্র।

জঙ্গি হামলার পরে গোটা মসজিদে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে মৃতদেহ। ফাইল চিত্র।

দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার পরে কেটে গিয়েছে চব্বিশ ঘণ্টা। কিন্তু কোনও জঙ্গি সংগঠন এখনও পর্যন্ত সিনাই উপদ্বীপের মসজিদ হামলার দায় স্বীকার করেনি। কোন সংগঠন এত বড় কাণ্ডের পিছনে রয়েছে, তা জানাতে পারেনি পুলিশ-প্রশাসনও। তবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা।

সরকারি সূত্রে আজ জানানো হয়েছে, গত কালের হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৩০৫ জনের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। নিহতদের মধ্যে ২৭টি শিশুও রয়েছে বলে আজ হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। হামলায় নিহতদের স্মরণে একটি স্মৃতিসৌধ বানানোর কথা আজ ঘোষণা করেছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল-সিসি। কবে কোথায় সেই সৌধ নির্মাণ করা হবে তা স্পষ্ট করেননি প্রেসিডেন্ট।

গত কাল উত্তর সিনাইয়ের এল-আরিশ শহরের অদূরে বিল আল-আবেদ গ্রামের আল রাওদাহ মসজিদে শুক্রবারের প্রার্থনা শেষের পরেই ২৫-৩০ জন জঙ্গির একটি দল আচমকা হামলা চালায়। এত মানুষকে একসঙ্গে মারতে জঙ্গিরা কী ছক কষেছিল, তা সামনে এসেছে আজ। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে আতঙ্ক তৈরি করতে মসজিদে একটি বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। বিকট আওয়াজে ভয় পেয়ে যখন মসজিদ ছেড়ে মানুষ যখন বাইরে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছেন, ঠিক সেই সময় শুরু হয় গুলিবৃষ্টি। মসজিদের সব ক’টি দরজা আর জানলায় জঙ্গিদের বন্দুক তাক করা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। চারটি বড় গাড়িতে করে এসেছিল তারা। মসজিদে ঢোকার আগে আশপাশের রাস্তায় বেশ কয়েকটি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে পথ অবরুদ্ধও করে দিয়েছিল। যাতে উদ্ধারকারীরা চট করে মসজিদ পর্যন্ত পৌঁছতে না পারেন।

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা না গেলেও কাল সিনাইয়ে বেশ কয়েকটি জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ করে আকাশ পথে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে মিশরের নিরাপত্তা বাহিনী। যে গাড়িগুলি করে কাল জঙ্গিরা মসজিদে গিয়েছিল, সেগুলি চিহ্নিত করে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে কিছু জঙ্গির বাড়িও। সিনাইয়ের স্থানীয় একটি জঙ্গি গোষ্ঠী জুন্দ আল-ইসলাম কালকের হামলার তীব্র নিন্দা করে জানিয়েছে, তারা এই হামলার পিছনে ছিল না। হামলার লক্ষ্য কারা ছিল, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশও। প্রশাসনের একটা অংশ জানিয়েছে, মসজিদে প্রার্থনা করতে আসা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাই ছিলেন হামলার মূল নিশানা।

কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মসজিদে আসা সুফি ভক্তদের হত্যা করতেই কাল এসেছিল জঙ্গিরা। ২০১৩ সালে মিশরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুরসির অপসারণের পর থেকেই জঙ্গি হামলায় জেরবার মিশর বিশেষত সিনাই উপদ্বীপ। গত চার বছরে আটশোরও বেশি হামলা চলেছে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে। মৃত্যু হয়েছে হাজারেরও বেশি মানুষের। আনসার বেইত আল-মাকদিস নামে এক স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠী বছর তিনেক আগে আইএসের প্রতি নিজেদের আনুগত্য প্রকাশ করে। বছর খানেক আগে একটি রুশ বিমান ধ্বংসের পিছনেও এদের হাত ছিল।

Egypt Mosque Terror Attack Islamic State সিনাই মিশর
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy