Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
H1b Visa

পাল্টে যাবে ভিসা-নীতি, ইঙ্গিত ডেমোক্র্যাট ইস্তাহারে

ক্ষমতায় এলে আমেরিকা তার কৌশলগত অংশীদার দেশ ভারতে বিনিয়োগ আরও বাড়াবে বলেও আশ্বাস রয়েছে ডেমোক্র্যাট-ইস্তেহারে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২০ ০২:৫৬
Share: Save:

বিদেশি কর্মীদের ভিসা দেওয়া নিয়ে আমেরিকায় তরজা এ বার সরাসরি ভোটের মাঠে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কর্মক্ষেত্রে মার্কিনদের অগ্রাধিকার দিতেই হবে। এ বছর আর নতুন করে এইচ-১বি ভিসা দেওয়া হবে না। তাঁর কথায়, এই জাতীয় ভিসার মাধ্যমে শুধু উচ্চ পদে উচ্চ মেধাসম্পন্নের চাকরি হওয়া উচিত। করোনা-প্রকোপে চাকরি খোয়ানো দু’কোটিরও বেশি নাগরিকের কর্মসংস্থান ফেরানো তাঁর ‘পবিত্র কর্তব্য’ বলে আপাতত গ্রিন কার্ড দেওয়ায় স্থগিত রেখেছেন ট্রাম্প। আজ এরই পাল্টা বিরোধী ডেমোক্র্যাট শিবির তাদের ইস্তেহারে জানাল, ভোটে জিতলে ট্রাম্পের যাবতীয় ভিসা ও অভিবাসন নীতি প্রত্যাহার করবে তারা।

এমনকি ক্ষমতায় এলে আমেরিকা তার কৌশলগত অংশীদার দেশ ভারতে বিনিয়োগ আরও বাড়াবে বলেও আশ্বাস রয়েছে ডেমোক্র্যাট-ইস্তেহারে।

ইস্তেহার (২০২০ ডেমোক্র্যাট পার্টি প্ল্যাটফর্ম) এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এ মাসের ১৭ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত উইসকনসিনে দলের জাতীয় কনভেনশন রয়েছে। সূত্রের খবর, সেখানে ইস্তেহার প্রকাশের পাশাপাশি দলের তরফে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে জো বাইডেনের নামও সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হবে। সেই সভা শুরুর দিন দশেক আগে থেকেই ট্রাম্পের ভিসা-নীতির বিরোধিতায় সরব হলেন ডেমোক্র্যাটরা।

সম্প্রতি সই-করা এক ভিসা নির্দেশিকায় ট্রাম্প জানিয়েছেন, শুধুমাত্র সস্তায় কর্মী পাওয়া যায় বলে এইচ১বি ভিসায় আর কোনও বিদেশিকে চাকরি দেওয়া যাবে না। বেতন কাঠামো নয়, মেধার ভিত্তিতেই বিদেশি কর্মী নিয়োগ হোক আমেরিকায়। যার জেরে আশঙ্কার মেঘ তৈরি হয়েছে বিশেষত ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের মধ্যে। ট্রাম্পের গ্রিন কার্ড সিদ্ধান্তেও আপাতত ঝুলে হয়েছে বহু অভিবাসীর আমেরিকায় স্থায়ী ভাবে বসবাস কিংবা মার্কিন নাগরিকত্ব জন্য আবেদনের অধিকার।

ডেমোক্র্যাটদের দাবি, তাঁরা ক্ষমতায় এলে ফের ‘সুদিন’ আসবে আমেরিকায় চাকরিপ্রার্থী কিংবা স্থায়ী ভাবে বসবাসে ইচ্ছুক বিদেশিদের। ট্রাম্পের ভিসা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বেশ কয়েক জন ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস সদস্যও। তাঁদের দাবি, চলতি করোনা-ত্রাসের আবহে অন্তত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এ ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হোক। গত কাল মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়োর পাশাপাশি হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটি ও শ্রম বিভাগের সচিবকে লেখা চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, এই অতিমারি সময়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যও দরজা বন্ধ রাখা হলে আখেরে বিপদ বাড়বে আমেরিকারই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE