E-Paper

ফ্লয়েড খুনে দোষী শভিনকে জেলে ছুরি

আরিজ়োনা প্রদেশের টাকসন শহরের একটি ফেডেরাল কারাগারে বন্দি ছিল শভিন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, গত কাল দুপুরে সেই সংশোধনাগারের মধ্যেই অন্য এক বন্দি ছুরি নিয়ে শভিনের উপরে হামলা চালায়।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৪২
An image of knife

—প্রতীকী চিত্র।

কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান যুবক জর্জ ফ্লয়েডের হত্যায় দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন পুলিশ অফিসার ডেরেক শভিন কারাগারের মধ্যেই আক্রান্ত হল।

আরিজ়োনা প্রদেশের টাকসন শহরের একটি ফেডেরাল কারাগারে বন্দি ছিল শভিন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, গত কাল দুপুরে সেই সংশোধনাগারের মধ্যেই অন্য এক বন্দি ছুরি নিয়ে শভিনের উপরে হামলা চালায়। কারাগারের রক্ষীরা প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মিনেসোটার প্রাক্তন পুলিশ অফিসার শভিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। শভিনের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে। হামলাকারীর নাম-পরিচয় আপাতত প্রকাশ্যে আনেনি পুলিশ। হামলার উদ্দেশ্যও স্পষ্ট নয়।

২০২০ সালের ২৫ মে। আমেরিকার মিনেসোটা প্রদশের মিনিয়াপোলিস শহরের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ২০ ডলারের বিল নিয়ে কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল ফ্লয়েডের বিরুদ্ধে। সেই সময়েই বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে পুলিশ ডাকা হয়। অভিযোগ, ফ্লয়েড যাতে পালাতে না পারেন, তাই মাটিতে ফেলে নিজের হাঁটু দিয়ে অন্তত ৯মিনিট ওই যুবকের ঘাড় চেপে রেখেছিল ৪৭ বছরের শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার শভিন। আশপাশের বাসিন্দাদের তোলা ভিডিয়োয় ফ্লয়েডকে বলতে শোনা গিয়েছিল ‘আই কান্ট ব্রিদ’ অর্থাৎ ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না’। এর পরেই মৃত্যু হয় ফ্লয়েডের। আর তার পরেই বর্ণবিদ্বেষ এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন হাজার হাজার মানুষ। শুধু আমেরিকাই নয়, গোটা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অভিযোগ ওঠে, শুধু ফ্লয়েডের ক্ষেত্রেই নয়, মিনেসোটা পুলিশ এর আগেও বহু ক্ষেত্রে কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে এই ধরনের বর্ণবৈষম্যমূলক আচরণ করেছে।

তদন্ত শুরু হলে শভিনকে দু’দফায় দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। প্রাদেশিক এবং কেন্দ্রীয় আইনের ধারায় তার এক দফায় সাড়ে ২১ বছর এবং অন্য দফায় ২২ বছরের কারাদণ্ড হয়। এর আগে মিনেসোটার প্রাদেশিক কারাগারে বন্দি ছিল শভিন। কয়েক মাস আগে টাকসনের সংশোধনাগারে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে। ওই কারাগারে মাঝারি মাপের নিরাপত্তা বরাদ্দ ছিল শভিনের জন্য।

তবে শভিনের আইনজীবী এরিক নেলসন গত বছর থেকেই তাঁর মক্কেলকে সম্পূর্ণ আলাদা সেলে রাখার আবেদন জানিয়ে আসছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, শভিনের প্রাণের আশঙ্কা রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে কারাগারের মধ্যেই তার উপরে হামলা চলতে পারে। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল এ বার।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Knife Attack George Floyd George Floyd Murder

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy