Advertisement
E-Paper

পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগও চালু হয়ে যাবে এ বার! ঘোষণা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের

পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি কোনও বিমান যোগাযোগ নেই। এ বার সেই পরিষেবাই চালু হতে চলেছে। শনিবার পেশোয়ার থেকে তা ঘোষণা করে দিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৩৪
(বাঁ দিকে) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে বাংলাদেশের। এ বার দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হতে চলেছে। শনিবার তেমনটাই ঘোষণা করেছেন পাকিস্তানে বাংলাদেশের হাই কমিশনার (রাষ্ট্রদূত) মহম্মদ ইকবাল হোসেন। পেশোয়ারে একটি সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান তিনি। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি কোনও বিমান যোগাযোগ নেই। এই পরিষেবা চালু হলে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ইকবাল। সংবাদ সংস্থা পিটিআই পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’কে উল্লেখ করে এই তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানের উদ্দেশে কবে বিমান উড়বে, তা অবশ্য খোলসা করেনি দূতাবাস। এই ধরনের বিমান পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। শীঘ্রই তা চালু হবে বলে ইঙ্গিতও মিলেছে। দুই দেশের গভীর এবং দৃঢ় সম্পর্ক উল্লেখ করে ইকবাল জানিয়েছেন, সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হলে শুধু যোগাযোগ বা যাতায়াতের ক্ষেত্রে নয়, পর্যটন, শিক্ষা এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও লাভবান হবে ঢাকা এবং ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানে প্রচুর বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কথা আলাদা করে উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর মতে, পাকিস্তানের ওই প্রদেশে স্বাস্থ্য এবং বৃহৎ শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশে উৎপন্ন পণ্যের চাহিদাও পাকিস্তানে বেশি বলে জানান তিনি। সবশেষে পাকিস্তানের বায়ুসেনার প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।

বাংলাদেশে গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে। গণআন্দোলনের চাপে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন হাসিনা। বর্তমানে তিনি ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। ৮ অগস্ট বাংলাদেশে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার, যার নেতৃত্বে রয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ইউনূস ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন বলে পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন। কিছু দিন আগে বাংলাদেশের এক সিনিয়র সেনা আধিকারিক পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। আলাদা করে পাক সেনাপ্রধানের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে।

Pakistan Bangladesh Flight Service Md Yunus Muhammad Yunus dhaka Islamabad
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy