E-Paper

আজ বৈঠকে ট্রাম্প ও শরিফ

ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন শেষ বার আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছিল। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে তখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন ট্রাম্পই।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:১৭
(বাঁ দিকে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশনে যোগ দিতে আমেরিকা এসেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। আগামী কাল রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে বক্তৃতা দেওয়ার কথা তাঁর। আর তার পরেই নিউ ইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন ডিসি উড়ে যাবেন তিনি। হোয়াইট হাউসে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কালই বৈঠকে বসার কথা শরিফের। সঙ্গে থাকবেন পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরও। পাক বিদেশ মন্ত্রক এই খবর নিশ্চিত করেছে। বৈঠক শেষে কালই ফের নিউ ইয়র্কে ফিরবেন শরিফ।

ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন শেষ বার আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছিল। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে তখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন ট্রাম্পই। জো বাইডেনের আমলে আমেরিকান প্রশাসন সে ভাবে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দেয়নি। কিন্তু ট্রাম্প ফের ক্ষমতায় আসার পরে পরিস্থিতি পাল্টেছে। পাকিস্তানকে কাছে টানার বার্তা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর আগে ভারত-পাকিস্তান সামরিক দ্বন্দ্ব মেটার ঠিক পরপরই জুন মাসে আমেরিকা এসে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছিলেন পাক সেনাপ্রধান। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে এই প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে চলেছেন শরিফ। পাক বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তা জানাচ্ছেন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, পশ্চিমি দেশগুলির ইসলাম-ভীতি এবং সন্ত্রাস নিয়ে মূলত আমেরিকান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলবেন শরিফ। বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় পাক সরকার কী কী পদক্ষেপ করছে, ট্রাম্পকে তা বিস্তারিত জানাবেন শরিফ। আলোচনা হওয়ার কথা পাকিস্তানের পড়শি আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়েও।

এর মধ্যেই আবার গত মে মাসের ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘর্ষের বিষয়টিকে স্কুলের পাঠ্যক্রমে ঢুকিয়েছে পাক সরকার। যা নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ‘পাকিস্তান-ইন্ডিয়া ওয়ার অব ২০২৫’ নামে সেই অধ্যায়ে লেখা হয়েছে, ‘গত ৬ মে পহেলমগামে পর্যটকদের উপরে হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত এ দেশের উপরে হামলা চালায়। ওই হামলায় বহু মানুষ নিহত হয়েছিলেন। তবে পাকিস্তান মিথ্যে এই অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করেছে’। ওই বইয়ে আরও লেখা হয়েছে, পাকিস্তানের উপরে হামলার পরে পাক সেনাবাহিনী যে প্রত্যাঘ্যাত করেছিল, তাতে ভারতের বহু বায়ুসেনা ঘাঁটি সেই সময়ে ধ্বংস হয়েছিল। সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনী বেছে বেছে শুধু ভারতের সামরিক ঘাঁটি এবং চেকপোস্টকেই নিশানা করেছিল বলেও বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Donald Trump Shahbaz Sharif

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy