Advertisement
E-Paper

হ্যাকিং নালিশ উড়িয়ে আস্থা পুতিনেই

ধোঁয়াশা জিইয়ে রেখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানালেন, তাঁর ভরপুর বিশ্বাস রয়েছে দেশি গোয়েন্দাদের উপরেও। নানাবিধ কূটনৈতিক কারণেই তিনি যে রাশিয়াকে আরও বেশি করে পাশে চাইছেন, আজ টুইটারে সে কথাও জানান ট্রাম্প। একের পর এক টুইট।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৪১

এশিয়া সফরে ব্যস্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মাঝের ক’টা দিন তাই ব্যাপারটা ধামাচাপা হয়ে পড়েছিল। ভিয়েতনাম থেকে তা উস্কে দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই। গত কালের পর আজ আবারও। তাঁর কথায়, ‘‘রাশিয়ার প্রেসি়ডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। পুতিন নিজেই যখন বারবার বলেছেন, তখন মস্কো নির্ঘাত আমেরিকার নির্বাচনে নাক গলায়নি।’’

কিন্তু এ নিয়ে তদন্ত যে বার বার সে দিকেই ইঙ্গিত করছে! ধোঁয়াশা জিইয়ে রেখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানালেন, তাঁর ভরপুর বিশ্বাস রয়েছে দেশি গোয়েন্দাদের উপরেও। নানাবিধ কূটনৈতিক কারণেই তিনি যে রাশিয়াকে আরও বেশি করে পাশে চাইছেন, আজ টুইটারে সে কথাও জানান ট্রাম্প। একের পর এক টুইট।

যা থেকে স্পষ্ট— ঘরে-বাইরে চাপ যেমনই থাক, পুতিনকে এখনই চটাতে চাইছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ দিকে আমেরিকার ভোটে রুশ হস্তক্ষেপ প্রমাণে মরিয়া আমেরিকার জাস্টিস ডিপার্টমেন্টও। ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে আসার পর থেকেই অভিযোগ উঠেছে, ডেমোক্র্যাট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনের হারের পিছনে রুশ হ্যাকারদের একটা বড় ভূমিকা ছিল। প্রাথমিক তদন্তের শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা গত মে মাসে কংগ্রেসকে জানিয়ে দিয়েছেন তদন্তকারীরা। এখনও তাঁদের আতসকাচের নীচে রয়েছেন বেশ কয়েকজন ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ। সিআইএ-র ডিরেক্টর হিসেবে ট্রাম্প যাঁকে নিয়ে এসেছিলেন, গত শনিবার সেই মাইক পম্পিও-ও মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ কার্যত মেনেই নিয়েছেন।

ট্রাম্প তা হলে এত জোর দিয়ে তা খারিজ করছেন কী ভাবে?

যুক্তির তাস হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পুতিনকেই খাড়া করছেন বারবার। কাল ভিয়েতনামের উপকূলবর্তী ন্যাং শহরে অ্যাপেকের শীর্ষ সম্মেলনে কয়েক মিনিটের জন্য সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছিল দুই রাষ্ট্রনেতার। কী কথা হল দু’জনের? পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে হ্যানয়ের উদ্দেশে বিমান ধরার আগে ট্রাম্প বলেন, ‘‘নতুন আর কী!
আমার সঙ্গে যত বার ওঁরা দেখা হয়েছে, তত বার উনি (পুতিন) হ্যাকিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আর আমি তা বিশ্বাসও করি। আমার তো মনে হয়, বারবার এমন অভিযোগ এনে কার্যত অপমানই করা হচ্ছে পুতিনকে।’’

শুধু পুতিনের পাশে দাঁড়ানো নয়, এই সূত্রে ট্রাম্প আজ একহাত নিয়েছেন দেশ-বিদেশের সমালোচকদেরও। তাঁর কথায়, ‘‘সব ব্যাপারেই রাজনীতি করাটা কোনও কাজের কথা নয়। উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া, ইউক্রেনের মতো দেশে সন্ত্রাস দমন করার ক্ষেত্রের রাশিয়ার পাশে থাকাটা আমাদের পক্ষে অত্যন্ত জরুরি।’’

Donald Trump Vladimir Putin US Russia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy