শীতের মরসুমে সর্দি, গলা ব্যথা, জ্বরে ভুগছে বাড়ির খুদে? শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় কম থাকে। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পোক্ত হতে সময় লাগে। তাই ঘন ঘন সংক্রমণ, সর্দি, কাশি, কানে ব্যথা, গলা ব্যথার কবলে পড়ে তারা। কারও কারও আবার সুস্থ হতে বেশি সময় লাগে। তবে পুষ্টিকর খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সেই ক্ষমতা বাড়তে পারে।
কোন কোন খাবারে শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে?
আমলকি: ভিটামিন সি-এর সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক উৎস এটি। এটি শ্বেত রক্তকণিকা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, যা সরাসরি সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ভিটামিন সি ছাড়াও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ভরা আমলকি হজমে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনে।
হলুদ: হলুদে থাকা কারকিউমিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টিসেপটিক। এটি ঠান্ডা লাগা, সর্দি ও কাশির প্রবণতা কমায়।
ঘি: ভিটামিন এ, ডি এবং ই সমৃদ্ধ ঘি ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ায়। তা ছাড়া একটানা কাশির ফলে গলায় প্রদাহ, জ্বালা ধরে ব্যথা হতে পারে। গলাকে আরাম দিতে পারে ঘি।
আরও পড়ুন:
গুড়: সব বয়সের মানুষই শীতে শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা ইত্যাদির প্রকোপে নাজেহাল হন। সে সময়ে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন পরিপূর্ণ গুড় খেলে শরীরে জোর পাওয়া যায়। উপরন্তু রক্তাল্পতা দূর করে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। ফলে ঠান্ডা লেগে অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা কমে।
সজনে: পাতা হোক, বা ডাঁটা, ফুল হোক গুঁড়ো— সজনে যে কোনও রূপে খেলেই একাধিক উপকার। দুধের চেয়ে বেশি ক্যালশিয়াম এবং কমলালেবুর চেয়ে বেশি ভিটামিন-সি থাকে এতে। ফলে শিশুদের খাওয়াতে পারলে শ্বাসকষ্ট ও ভাইরাস সংক্রমণ থেকে সহজে দূরে রাখা যায়।