Advertisement
E-Paper

দূত-বিতর্ক ঘিরে দ্বন্দ্বে এ বার ট্রাম্প-টেরেসা

সম্প্রতি ফাঁস হওয়া এক কেব্‌লে আমেরিকায় ব্রিটেনের দূত কিম ডারোখ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে যে ধরনের মন্তব্য করেছেন, তাতে তাঁর কিছুই বলার নেই বলে জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। 

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৯ ০১:১৩
ছবি: এএফপি।

ছবি: এএফপি।

ক্রমশ ঘোরালো হচ্ছে দূত-বিতর্ক। যা ঘিরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বার বিঁধেছেন ব্রিটেনের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-কে। ট্রাম্পের মতে, ব্রিটেন দ্রুত নয়া প্রধানমন্ত্রী পেতে চলেছে, এটাই ভাল ব্যাপার!

সম্প্রতি ফাঁস হওয়া এক কেব্‌লে আমেরিকায় ব্রিটেনের দূত কিম ডারোখ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে যে ধরনের মন্তব্য করেছেন, তাতে তাঁর কিছুই বলার নেই বলে জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।

কিন্তু তার পর থেকে তাঁর আক্রমণের ধার বেড়েছে। এ বার তিনি বলেছেন, ‘‘আমেরিকায় যে পাগলা দূতকে পাঠিয়েছে ব্রিটেন, তাঁকে নিয়ে আমরা এতটুকু উৎসাহী নই। অত্যন্ত নির্বোধ একটা লোক।’’ যা শুনে ফের নিজের দূতের পাশ দাঁড়িয়েছেন টেরেসা। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী এর আগেও জানিয়েছিলেন, দূত ডারোখ যা বলেছেন, তাতে তাঁর ‘পূর্ণ সমর্থন’ রয়েছে। ট্রাম্পের আক্রমণের মুখে ফের একই কথা বলেছেন তিনি।

ব্রিটেনের দূত কিম ডারোখ লন্ডনে গোপন কূটনৈতিক কেব‌্‌ল পাঠিয়ে ট্রাম্প সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট অযোগ্য ও অদক্ষ।’’

‘‘অমর্যাদায় শেষ হবে ট্রাম্পের কেরিয়ার’’—কেব্‌ল-এ এ-ও লিখে পাঠিয়েছেন ডারোখ। এই কেব্‌ল ফাঁস হয়ে যায় একটি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডে। তার পর থেকে আমেরিকা-ব্রিটেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে চাপান-উতোর বেড়েছে। এমনিতে তারা বন্ধু-দেশ হলেও দূতের মন্তব্য নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে মার্কিন প্রশাসনে। যার আঁচ থেকে বাঁচতে সম্পর্ক মেরামতির মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ব্রিটেন প্রশাসন। সে দেশের বিদেশমন্ত্রী জেরেমি হান্ট জানিয়েছেন, ট্রাম্প সম্পর্কে ওই মতামত দূতের ব্যক্তিগত। তা ব্রিটিশ সরকারের মত নয়। তবে যে ভাবে কেব্‌ল ফাঁস হয়েছে, সে বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। এত ব্যাখ্যা সত্ত্বেও ধেয়ে এল ট্রাম্পের টুইট-বোমা।

প্রেসিডেন্টের মতে, ব্রেক্সিট-মীমাংসার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে টেরেসা একেবারে গোলমাল পাকিয়ে ছেড়েছেন। টেরেসার বিদায়কে স্বাগত জানিয়ে এক ধাপ এগিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য, ‘‘ব্রিটেন শীঘ্রই নয়া প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে, এটা সুখবর।’’ বিশদে প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘‘ব্রিটেন এবং টেরেসা মে যে ভাবে ব্রেক্সিট মীমাংসা চালিয়েছেন, বরাবরই তার সমালোচনা করেছি আমি। উনি আর ওঁর প্রতিনিধিরা কী ভীষণ জট পাকিয়েছেন গোটা বিষয়টি নিয়ে। আমি ওঁকে বলেছিলাম, কী ভাবে বিষয়টা নিয়ে এগোতে হবে। কিন্তু উনি ওঁর মতোই এগোলেন। কী বিপর্যয়!’’ এর পরেই দূতের প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্টের সংযোজন, ‘‘আমি ওই দূতকে চিনি না। শুনেছি, উনি একটি আস্ত নির্বোধ।

ওঁর সঙ্গে আমরা আর কোনও কাজ করব না। ওঁকে বলে দিন, বিশ্বে আমেরিকার অর্থনীতি এবং সেনাবাহিনী সব চেয়ে সেরা। দু’টোই আরও উন্নত হচ্ছে।’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

Theresa May Donald Trump
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy