Advertisement
E-Paper

মুখোমুখি ট্রাম্প-ইশিবা, বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ না হলে শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি জাপানকেও!

সম্প্রতি কানাডা, মেক্সিকো এবং চিনের পণ্যের উপর শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। চিনা পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক এবং বাকি দুই দেশের পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করা হয়েছিল।

ইশিবার সঙ্গে ট্রাম্প।

ইশিবার সঙ্গে ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৪০
Share
Save

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে দেখা করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, টোকিও-ওয়াশিংটন বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ না হলে শুল্ক আরোপ করা হবে জাপানি পণ্যেও!

শুক্রবার ওয়াশিংটনে ইশিবার সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাৎ হয়েছে। ট্রাম্প ক্ষমতায় ফেরার পর হোয়াইট হাউসে আসা দ্বিতীয় রাষ্ট্রনেতা ইশিবাই। দুই রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পরেই ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমেরিকা-জাপান বাণিজ্যে ‘সমতা’ চান তিনি। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ না হলে জাপানি পণ্যের উপরেও শুল্ক আরোপ করতে পারে আমেরিকা। পাশাপাশি ট্রাম্প জানিয়েছেন, শীঘ্রই আমেরিকার তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করা শুরু করতে পারে জাপান। এ বিষয়ে আলাস্কার মধ্য দিয়ে একটি পাইপলাইন তৈরির কথাও ভাবছে দুই দেশ।

সম্প্রতি কানাডা, মেক্সিকো এবং চিনের পণ্যের উপর শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। চিনা পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক এবং বাকি দুই দেশের পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলে ট্রাম্প জানান, আপাতত কানাডা ও মেক্সিকোর উপর কার্যকর হচ্ছে না তাঁর শুল্কনীতি। তবে চিনের উপর শুল্ক বহাল থাকছে। চিন সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেয়, আমেরিকার পণ্যের উপরেও পাল্টা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে চলেছে তারা! আমেরিকা থেকে আসা কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর ১৫ শতাংশ এবং অপরিশোধিত তেল, কৃষি সরঞ্জাম ও বড় গাড়ির উপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।

গত নভেম্বরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার পরেই প্রতিবেশী কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে বাড়তি শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। জানিয়েছিলেন, অবৈধ অভিবাসন সমস্যা এবং সীমান্ত দিয়ে ফেন্টানাইল মাদক পাচার বন্ধ করতেই দু’দেশের পণ্যের উপর শুল্ক চাপানোর এই সিদ্ধান্ত। সেই সঙ্গে বেজিংকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, চিনে তৈরি বহু অবৈধ ওষুধ মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে আমেরিকায় ঢুকলেও বেজিং কোনও পদক্ষেপ করেনি। চিন যত দিন না এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে, তত দিন পর্যন্ত চিনা পণ্যে শুল্ক চাপানো হবে।

প্রসঙ্গত, চিন এবং পরমাণু-শক্তিধর উত্তর কোরিয়ার উত্তরণ রুখতে বরাবর আমেরিকার সঙ্গী ছিল ইশিবার দেশ। আমেরিকায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও এগিয়ে রয়েছে জাপান। শুল্ক এড়াতে কী পদক্ষেপ করে জাপান, এখন সে দিকেই তাকিয়ে বিশ্ব।

Donald Trump Japan

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}