রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপর ‘অসন্তুষ্ট’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজেই সে কথা জানান তিনি। পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘‘হত্যালীলা চালিয়ে যেতে চান পুতিন!’’
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের জন্য বার বার পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ট্রাম্প। কখনও ফোনে, কখনও আবার দুই রাষ্ট্রনেতার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও উঠে এসেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গ। সর্বশেষ, গত বৃহস্পতিবার ফোনে কথা হয় ট্রাম্প এবং পুতিনের। ট্রাম্প এবং পুতিনের ফোন-কথোপকথনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, পশ্চিম এশিয়া এবং ইরানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে দু’পক্ষই। তবে আলোচনা যে ‘ফলপ্রসূ’ হয়নি, তা আগেই জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করে ট্রাম্প বলেন, ‘‘খুবই কঠিন পরিস্থিতি। আগেই বলেছিলাম রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আমার ফোনালাপে আমি খুবই অসন্তুষ্ট। উনি কেবল মানুষ হত্যা চালিয়ে যেতে চান। এটা কখনই ভাল বিষয় নয়।’’
দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ থামাতে উদ্যোগী হন ট্রাম্প। দু’পক্ষের সঙ্গেই একাধিক বার যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনাও করেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধানসূত্র বার হয়নি। কেউই যুদ্ধবিরতির শর্তে রাজি হয়নি। প্রায় প্রতি দিনই নতুন করে একে অন্যের বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে একের পর এক শহর। সেই সঙ্গে অব্যাহত মৃত্যুমিছিল।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও সমাধানসূত্র বার না-হওয়ায় পুতিনের উপর খুশি নন ট্রাম্প। আবার রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ্য, মাস ছয় আগে রাশিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল আমেরিকা। যুদ্ধ শেষ করার জন্য পুতিনকে রাজি করানোর চেষ্টার লক্ষ্যেই ছিল এই পদক্ষেপ। তবে আবার রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হতে পারে। ট্রাম্পের কথায়, ‘‘আমরা (পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ) অনেক কথা বলেছি। উনি বুঝতে পেরেছেন এটি (নিষেধাজ্ঞা) আবার আসতে চলেছে।’’
আরও পড়ুন:
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে জাতির উদ্দেশে ভাষণে কিভের বিরুদ্ধে ‘সামরিক অভিযানের’ ঘোষণা করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেই থেকে হামলা, পাল্টা হামলায় বিধ্বস্ত দু’দেশ। তবে কেউই একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার পথ থেকে সরে আসেনি।