ফ্লরিডার ওরল্যান্ডোয় রিপাবলিকানদের এক সমাবেশে প্রাক্তন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রয়টার্স
দ্বিতীয় ইমপিচমেন্ট কাঁটা দূর হওয়ার পরে দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদের স্বপ্ন তিনি যে এখনও দেখছেন, তা ফের স্পষ্ট করে দিলেন সদ্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। হোয়াইট হাউস ছাড়ার ছ’সপ্তাহ পরে, রবিবার ফ্লরিডার ওরল্যান্ডোয় রিপাবলিকানদের এক সমাবেশে স্বমহিমায় দেখা গেল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
জনসভায় দেড় ঘণ্টার বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেন, ‘‘আপনাদের সকলের সহযোগিতায় আমরা ২০২২-এ সেনেট এবং হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভসে ফের সংখ্যাগরিষ্ঠ হব।’’ ট্রাম্পের জমানায় হাউস ডেমোক্র্যাটদের দখলে থাকলেও সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল রিপাবলিকানেরাই। ২০২০-র ভোটে সেই ছবি পাল্টে যায়।
বক্তৃতায় ট্রাম্পের স্পষ্ট ইঙ্গিত, ২০২৪-এর প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে তিনি নিজেকে সামনের সারিতেই রেখেছেন। রসিকতার ঢঙে হাসতে হাসতে বলেন, ‘‘পরের বার আমাদের প্রার্থী কাকে করা যায় বলুন তো? আমি তো ভেবেই পাচ্ছি না!’’
প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে এখন রিপাবলিকান দলে দু’টি ভাগ হয়ে গিয়েছে। ট্রাম্প-পন্থীরা মনে করেন, এ বার হারের পরে দলকে চাঙ্গা রাখতে ট্রাম্পের মতো চনমনে এক জন নেতার খুব প্রয়োজন। অন্য দিকে রয়েছেন সেনেটের মাইনরিটি লিডার মিচ ম্যাককনেল। বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি চেষ্টা চালাচ্ছেন যাতে ট্রাম্প এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ কিছু নেতার (যেমন সেনেটর লিন্সে গ্রাহাম) দলে বাড়বাড়ন্ত কিছুটা কমে।
এই সমাবেশে ফের এ বারের নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছিলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘‘দেশের ভোট-প্রক্রিয়ার আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন।’’ সমাবেশে আসা দলীয় সদস্যদের মধ্যে এক জনসমীক্ষা করে দেখা যায়, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যদি ট্রাম্প প্রার্থী হন, তাঁকে ভোট দেবেন ৫৫ শতাংশ রিপাবলিকান। ২১ শতাংশের সমর্থন পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ফ্লরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy