কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানায় ২৬ জনের মৃত্যু এবং তার পরবর্তী পর্যায়ে ভারত-পাক সংঘাতের আবহ সম্পর্কে তিনি সচেতন। কিন্তু গাজ়া কিংবা ইউক্রেনের মতো নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ দ্বন্দ্বে মধ্যস্থতার কোনও আকাঙ্ক্ষা নেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। শুক্রবার (স্থানীয় সময়) তিনি বলেছেন, ‘‘ভারত এবং পাকিস্তান নিজেরাই কোনও না কোনও ভাবে এই সমস্যার সমাধান করবে।’’
পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিতে রোমে যাওয়ার পথে ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’ (মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ বিমান)-এ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পহেলগাঁওয়ে পর্যটক হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘‘একটি খারাপ ঘটনা ঘটেছে।’’ কিন্তু পহেলগাঁও-পরবর্তী পর্যায়ে ভারত-পাক সীমান্ত এবং জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) তৈরি হওয়ার উত্তেজনা যে তাঁর কাছে অস্বাভাবিক কিছু নয়, সে কথাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘‘১,৫০০ বছর ধরে সীমান্তে উত্তেজনা রয়েছে। তারাই (ভারত এবং পাকিস্তান) কোনও না কোনও ভাবে বিষয়টির সমাধান করবে। আমি নিশ্চিত।’’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের কথা বহুল প্রচারিত। কিন্তু পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও যে তাঁর ঘনিষ্ঠ সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘‘দুই নেতাকেই আমি দীর্ঘ দিন ধরে চিনি। আপনারা জানেন, আমি ভারতের খুব কাছের। আমি পাকিস্তানেরও খুব কাছের। কাশ্মীর নিয়ে তারা হাজার বছর ধরে সেই লড়াই চালিয়ে আসছে। সম্ভবত তার চেয়েও বেশি সময় ধরে।’’
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, আমেরিকার গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ড জানিয়েছেন, পহেলগাঁওয়ের ঘাতকদের সন্ধানে ভারতকে সাহায্য করতে আমেরিকা প্রস্তুত। সাম্প্রতিক সময়ে গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলা এবং রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশীয় সংঘাতের ক্ষেত্রে যে হোয়াইট হাউস ‘ভিন্নপথে হাঁটবে’, ট্রাম্পের বক্তব্যে তার স্পষ্ট বার্তা মিলেছে।