Advertisement
E-Paper

আচ্ছা বাংলাদেশটা যেন কোথায়? ফের ট্রাম্পের প্রশ্নে হতচকিত বিশ্ব

রোহিঙ্গাদের এক প্রতিনিধি এবং নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী নাদিয়া মুরাদ ওই দিন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁরই অফিসে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৯ ১৭:৩০
রোহিঙ্গা ও ইয়াজিদি মহিলাদের সমস্যা নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত্ প্রতিনিধি দলের। ছবি সৌজন্য টুইটার।

রোহিঙ্গা ও ইয়াজিদি মহিলাদের সমস্যা নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত্ প্রতিনিধি দলের। ছবি সৌজন্য টুইটার।

গোটা বিশ্ব তাঁর অদ্ভুত আচরণ ও ভঙ্গির সঙ্গে পরিচিত। গত বুধবারও এ ভাবেই তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গির সাক্ষী থাকল গোটা বিশ্ব। বৈঠকে বসে হঠাৎই প্রশ্ন করে বসেন, ‘‘আচ্ছা, বাংলাদেশটা যেন কোথায়?’’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখে এমন প্রশ্ন শুনে হতচকিত হয়ে গিয়েছিলেন উপস্থিত সকলেই। তড়িঘড়ি পরিস্থিতি সামাল দেন তাঁর উপদেষ্টা। ট্রাম্পকে বলেন, “মায়ানমারের ঠিক পাশেই যে দেশটি রয়েছে, সেটাই হল বাংলাদেশ।”

রোহিঙ্গাদের এক প্রতিনিধি এবং নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী নাদিয়া মুরাদ ওই দিন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁরই অফিসে। রোহিঙ্গারা কী ভাবে অত্যাচারিত হচ্ছে, আইএস জঙ্গিরা কী ভাবে ইরাকে ইয়াজিদি মহিলাদের বন্দি বানাচ্ছে— এ সব সমস্যার কথা জানিয়ে ট্রাম্পের সাহায্য চাইতে গিয়েছিল প্রতিনিধি দলটি। রোহিঙ্গাদের হয়ে যিনি প্রতিনিধিত্ব করছিলেন তিনি ট্রাম্পকে বলেন, “ আমি বাংলাদেশের শরণার্থী ক্যাম্পের এক জন রোহিঙ্গা। শরণার্থীরা যত দ্রুত সম্ভব বাড়িতে ফিরতে চায়। এ ব্যাপারে কী ভাবে আমাদের সাহায্য করবেন আপনি?” তত্ক্ষণাত্ ট্রাম্প বলে ওঠেন, বাংলাদেশটা যেন কোথায়?

এখানেই শেষ নয়, চমকের আরও বাকি ছিল। আইএস জঙ্গিদের হাত থেকে পালিয়ে আসা ইয়াজিদি মহিলা নাদিয়া মুরাদ। তিনিও সেই প্রতিনিধি দলে ছিলেন। ইয়াজিদি মহিলাদের সমস্যার কথাই বলছিলেন ট্রাম্পকে। সেই সময় হঠাত্ ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, “আপনিই তো নোবেল পেয়েছিলেন তাই না! সত্যিই অসাধারণ। কিন্তু কিসের জন্য পেয়েছিলেন বলুন তো?” মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখে এমন কথা শুনে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছিলেন নাদিয়া। একটু থেমে তাঁর নোবেল পাওয়ার ব্যাখ্যাও দেন নাদিয়া! সেই সঙ্গে ইয়াজিদি মহিলাদের সুরক্ষার জন্য আর্জিও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে।

এমন মন্তব্যের পরই প্রবল সমালোচনা মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। প্রশ্ন উঠছে, মায়ানমার কোথায় সেটা জানেন, এথচ তারই প্রতিবেশী দেশ সম্পর্কে জানেন না ট্রাম্প? সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে এমনই কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন অনেকেই।

আরও পড়ুন: রাজ্যপালের নির্দেশ উপেক্ষা, আস্থাভোটে স্পিকারের নির্দেশই মানব, বললেন কুমারস্বামী

আরও পড়ুন: ‘অনুপ্রবেশকারীদের স্বর্গরাজ্য হতে পারে না ভারত’, সুপ্রিম কোর্টে বলল কেন্দ্র

Donald Trump US President Rohingya Yazidi Nadia Murad Bangladesh ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ রোহিঙ্গা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy