হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এখনই কোনও বৈঠকের সম্ভাবনা নেই। মঙ্গলবার এ কথা জানাল হোয়াইট হাউস! সেই সঙ্গে আবারও ক্ষীণ হয়ে গেল ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির সম্ভবনা।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো এবং রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের মঙ্গলবার টেলিফোনে কথা হয়। আর ঘটনাচক্রে তার পরেই ওয়াশিংটনের তরফে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক ‘সাময়িক ভাবে’ বাতিল করার সিদ্ধান্ত ঘোষিত হয়েছে। তবে কেন শীর্ষবৈঠক হঠাৎ স্থগিত করা হল, তার কোনও কারণ জানায়নি হোয়াইট হাউস।
আরও পড়ুন:
ঘটনাচক্রে, গত বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার পুতিনের সঙ্গে তাঁর ফোনালাপের পরে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতির অসাধারণ অগ্রগতি হয়েছে এবং ইউক্রেন ইস্যুতে তাঁরা হাঙ্গেরিতে মুখোমুখি আলোচনায় সম্মত হয়েছেন। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের ওই বার্তার পরে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভও বৈঠক ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে’ বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠকে কোনও তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়। কারণ, এ ক্ষেত্রে নিবিড় প্রস্তুতির প্রয়োজন।’’ তবে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানাচ্ছে, গত শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে কিভকে টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। আর সেই সিদ্ধান্ত ঘিরেই ওয়াশিংটন-মস্কো সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবারই হাঙ্গেরির বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার জন্য পুতিনকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহার না-করার ব্যাপারে সতর্ক করেছিল নেটোর সদস্যরাষ্ট্র পোল্যাল্ড। যদি অন্যথা হয় তবে পুতিনকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন পোল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রী রাডোস্লা সিকোরস্কি।