কানাডা থেকে আমদানি করা দুগ্ধজাত পণ্যের উপর এ বার ২৫০ শতাংশ হারে শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কানাডা আগে থেকেই আমেরিকা থেকে আমদানি করা দুগ্ধজাত পণ্যের উপর চড়া হারে শুল্ক চাপিয়ে রেখেছে, যা প্রায় ২৫০ শতাংশের কাছাকাছি। ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কানাডা ওই শুল্ক না-কমালে আমেরিকাও সমহারে শুল্ক আরোপ করবে। (পূর্বাঞ্চলীয় সময় অনুসারে) শুক্রবার ওভাল অফিস থেকে ট্রাম্প জানান, এই শুল্ক এখনও ধার্য করা হতে পারে। আবার সোমবার বা মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষাও করা হতে পারে। ট্রাম্পের অভিযোগ, দুগ্ধজাত পণ্যের পাশাপাশি কাঠ আমদানির সময়েও চড়া হারে শুল্ক নেয় কানাডা। সে ক্ষেত্রে কাঠের উপরেও কানাডার সঙ্গে সমহারে শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প দ্বিতীয় বার আমেরিকার ক্ষমতায় আসার পরে তাঁর শুল্কনীতি ঘিরে আলোচনা শুরু হয়েছে। কানাডা, মেক্সিকো এবং চিনের বিভিন্ন পণ্যের উপর শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। যদিও কানাডা এবং মেক্সিকোর পণ্যের উপর এখনই শুল্ক আরোপ করছে না আমেরিকা। দুই দেশের উপর শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত আগামী ২ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত রেখেছেন ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তের ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই নতুন করে কানাডাকে শুল্ক নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “কাঠ এবং দুগ্ধজাত পণ্যের উপর শুল্কে বছরের পর বছর ধরে কানাডা আমাদের নিংড়ে নিচ্ছে। এ বার কানাডা শুল্ক না-কমালে তাদের উপরেও একই পরিমাণ শুল্ক চাপানো হবে।”
বস্তুত, কানাডায় কয়েক দশক ধরে চলে আসা অভ্যন্তরীণ নীতির প্রভাব রয়েছে সে দেশের দুগ্ধজাত পণ্য আমদানির উপরে। সেই কারণেই দুগ্ধজাত পণ্য আমদানিতে চড়া হারে শুল্ক নেয় কানাডা। ভিন্দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের জন্য কানাডার দুগ্ধজাত পণ্য ব্যবসায়ীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না-হন, তা নিশ্চিত করতেই কানাডার এই নীতি। ২০২০ সালে ট্রাম্পের জমানায় সই করা আমেরিকা-মেক্সিকো-কানাডা ত্রিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি (ইউএসএমসিএ) অনুসারে, আমেরিকা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ দুগ্ধজাত পণ্য বিনা শুল্কে কানাডায় রফতানি করতে পারে। কিন্তু তার বেশি রফতানি করতে গেলে চড়া হারে শুল্ক দিতে হয়। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওই চড়া হারের শুল্ক কোনও ক্ষেত্রে ২০০ শতাংশও পেরিয়ে যায়।
আরও পড়ুন:
এই নির্দিষ্ট পরিমাণ কোটা নিয়ে অনেক দিন ধরেই আপত্তি জানাচ্ছিল ওয়াশিংটন। এ বার শুল্ক কমানোর জন্য কানাডাকে কড়া বার্তা দিয়ে রাখলেন ট্রাম্প। তাঁর দাবি, কানাডায় ২৫০ শতাংশ হারে শুল্ক নেয়। তা না-কমালে আমেরিকাও সমহারে শুল্ক চাপাবে। ট্রাম্পের বক্তব্য, কানাডার এই শুল্ক ‘মারাত্মক বেশি’ এবং এটির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ‘কঠিন’ হয়ে উঠেছে।