আগ্নেয়গিরি জেগে ওঠার ফলে সুনামির কবলে পড়েছিল টোঙ্গা।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০-এর পরে পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল টোঙ্গার সঙ্গে। টেলিফোন, ইন্টারনেট, মোবাইল, কেব্ল পরিষবা— কাজ করছিল না কোনওটাই। আজ, প্রায় চার দিন পরে খবর মিলল ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রের। জানা গেল, সমুদ্রের তলদেশে হুঙ্গা-টোঙ্গা-হুঙ্গা-হাপাই আগ্নেয়গিরি জেগে ওঠার ফলে সুনামির কবলে পড়েছিল টোঙ্গা। টোঙ্গার প্রশাসন জানিয়েছে, অন্তত ৪৯ ফুট উঁচুতে উঠেছিল সেই ঢেউ।
সরকারের দেওয়া ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক খতিয়ান থেকে জানা গিয়েছে, তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ডুবে গিয়েছে শতাধিক বাড়ি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টোঙ্গার পশ্চিম উপকূল। সুনামির জেরে একটি গ্রাম সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। বহু জায়গায় রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জখম অনেকেই। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। প্রতিকূলতা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যকর্মী এবং উদ্ধারকারীরা এক নাগাড়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। টোঙ্গার বহু অঞ্চল এখনও বিচ্ছিন্ন। শনিবার প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই ছোট্ট দ্বীপের শেষ খবর মিলেছিল নিউজ়িল্যান্ডের সৌজন্যে। আজ নিউজ়িল্যান্ড জানিয়েছে, সমুদ্রের তলদেশে পাতা কেবল্ ব্যবস্থা পুরোপুরি বিধ্বস্ত। তা ফের চালু করতে অন্তত এক মাস লাগবে।
উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, রাজধানী নুকুয়ালোফা-সহ টোঙ্গার বিস্তীর্ণ এলাকা ছাইয়ে ঢাকা। ছাইয়ে ঢেকেছে দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি। তবে অক্ষত রয়েছে। আজ, বুধবার থেকে উড়ান পরিষেবা চালু হওয়ার কথা। দু’টি জাহাজে করে সাহায্য পাঠিয়েছে নিউজ়িল্যান্ড। সঙ্গে গিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি সাহায্যকারী দল। আকাশপথে সাহায্য পাঠাতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়াও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy