দুর্গা প্রতিমা। — ফাইল চিত্র।
রথ এলেই মনে করিয়ে দেয় দুর্গাপুজার কথা। রথের দিনেই আমাদের গাঁয়ের দুর্গাপ্রতিমার কাঠামোয় মাটি ছোঁয়ানো হয়। সেই ছবি আমার কাছে পৌঁছলেই সুদূর সিঙ্গাপুরে বসে আমার মনটা দুর্গামন্দিরে চলে যায়। তখনই মনে মনে পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়।
কোভিডের কারণে দু’বছর সিঙ্গাপুরে পুজো জমেনি। কোভিড-বিধি থাকার জন্য বেশির ভাগ উদ্যোক্তা পুজো সেরেছিলেন নমো নমো করে। অনেকে আবার সে আয়োজনও করে উঠতে পারেননি। এখানে একটি বাঙালি পুজো সংগঠনের এক কর্তা জানালেন, গতবার অষ্টমীর দিনে কোভিড নিয়মের জন্য প্রায় ১৭টি ব্যাচ করে বিভিন্ন সময়ে পুষ্পাঞ্জলির আয়োজন করা হয়েছিল।
সিঙ্গাপুরে এখনও বাসে-ট্রেনে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। তা ছাড়া অবশ্য কোনও কোভিড-বিধি নেই বললেই চলে। এ বার উদ্যোক্তাদের তাই লক্ষ্য— জমজমাট পুজোর আয়োজন। দু’বছরের আনন্দের পাওনা-গণ্ডা মিটিয়ে নিতে হবে তো! সামনের রবিবার, ২৫ তারিখ, মহালয়া উপলক্ষে তিনটি গোষ্ঠীর উদ্যোগে থাকবে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খাওয়া-দাওয়া। তা ছাড়া, মহালয়াতে রামকৃষ্ণ মিশনেও এ বার টেগোর সোসাইটির উদ্যোগে অনুষ্ঠান হবে। এখানে চারটি বড় দুর্গাপুজো ছাড়াও রামকৃষ্ণ মিশনে দুর্গাপুজো হয়। মিশনের পুজোতে কোন প্রতিমা থাকে না। মা-দুর্গার ছবিতে পুজো হয়।
এখানকার অন্যতম বড় বাঙালি পুজো গোষ্ঠী ‘বাঙ্গালী সার্বজনীন সোসাইটি’র প্রতিমা ইতিমধ্যে কুমোরটুলি থেকে রওনা দিয়েছে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে। পঞ্জিকা মেনে পাঁচ দিনই খুব নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো হবে। রয়েছে জমাটি খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা আর বিজয়া সম্মেলনও। আমাদের আশা, বাঙালি-অবাঙালি-অভারতীয়— সবাই মিলে সিঙ্গাপুরের দুর্গাপুজোগুলিতে অংশ নিয়ে এ বার পুজো সার্থক করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy