বাংলাদেশে আবারও ভূমিকম্প। শনিবার সকালের পরে সন্ধ্যাতেও দু’বার ভূমিকম্প হল, যার উৎপত্তিস্থল নরসিংদী ও বাড্ডায়। শুক্রবারের পরে শনিবারের কম্পনে ঢাকা-সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বন্ধ রাখা হয়েছে ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৪ সেকেন্ড ও ৬টা ৬ মিনিট ৫ সেকেন্ডে পর পর দু’বার ভূকম্পন হয়। রিখটার স্কেলে প্রথম কম্পনের তীব্রতা ৩.৭ ও দ্বিতীয় কম্পনের মাত্রা ৪.৩। প্রথমটির উৎসস্থল বাড্ডা ও দ্বিতীয়টির উৎসস্থল নরসিংদী। শনিবার সকালে ১০টা ৩৬ মিনিট ১২ সেকেন্ড নাগাদ নরসিংদীতে ৩.৩ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। পর পর ভূকম্পনের ফলে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। রবিবার বিকেল ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ভবন ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ভাবা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনগুলি পরীক্ষা করে প্রয়োজনে উপযুক্ত সংস্কারের কথা। এই সময়ে কোনও রকম ক্লাস বা পরীক্ষা হবে না। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য দফতর খোলা থাকবে। রবিবার বন্ধ থাকছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষাও। তবে খোলা থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দফতর। এই পরিস্থিতিতেও বন্ধ থাকছে না বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনী কার্যক্রম। দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেই শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
আরও পড়ুন:
শুক্রবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩৮ নাগাদ বাংলাদেশে ভূমিকম্প হয়। যার উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী থেকে ১৪ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে । ওই দেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র তথ্য অনুযায়ী, ওই কম্পনের ফলে শিশু-সহ প্রায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত অন্তত ছয়শো। ওই ভূ- কম্পনের প্রভাব পড়েছিল কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গেও।