ফের কম্পন বাংলাদেশে। শনিবার ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় মৃদু কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৩। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল বাইপাইল এলাকাই। শুক্রবার ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ হয়েছে। মৃতদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছেন ৬০০-রও বেশি মানুষ। সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে নরসিংদীতে (৫)। ঢাকায় চার জন মারা গিয়েছেন। আর নারায়ণগঞ্জে এক জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টা ৮ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী ঘড়িতে তখন ১০টা ৩৮ মিনিট। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৫। ভারতের ভূতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ জানায়, কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৭।
ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল বাংলাদেশেই। নরসিংদী থেকে ১৪ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে কম্পন উৎপন্ন হয়। এর প্রভাবে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা কেঁপে উঠেছিল। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, হুগলিতেও মৃদু কম্পন অনুভূত হয়। শুক্রবারই জানা গিয়েছিল ভূমিকম্পে বাংলাদেশে ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে।