২৩ লক্ষ কোটি টাকা (৭৬ লক্ষ কোটি পাকিস্তানি রুপি) ঋণের বোঝা মাথায় নিয়েও প্রতিরক্ষা বাজেট ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছে পাকিস্তান। চিন থেকে চড়া দামে পঞ্চম প্রজন্মের স্টেল্থ যুদ্ধবিমান জেএফ-৩৫ কেনারও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার। তার তার প্রত্যক্ষ নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিক্ষায়।
ভারতের জুজু দেখিয়ে সামরিক শক্তিবৃদ্ধির মরিয়া চেষ্টা পাকিস্তানের শিক্ষাব্যবস্থাকে কার্যত পঙ্গু করে দিচ্ছে বলে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’-এর একটি রিপোর্টে সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে। ‘পাকিস্তান ইকোনমিক সার্ভে’র দেওয়া তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত শিক্ষাখাতে ব্যয় ২৯ শতাংশ কমে গিয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে জিডিপির অনুপাতে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ধারাবাহিক ভাবে কমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে মাত্র ০.৮ শতাংশে। যা পাকিস্তানের ইতিহাসে সর্বনিম্ন!
এর পরিণামে পাকিস্তানে প্রতি তিন জন শিশুর মধ্যে এক জন স্কুলশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’-এর রিপোর্ট জানাচ্ছে। সংখ্যায় যারা আড়াই কোটিরও বেশি। রাষ্ট্রপুঞ্জের সুপারিশ অনুযায়ী কোনও দেশের জিডিপির ৪-৬ শতাংশ হওয়া উচিত। পাকিস্তানের অবস্থান সেই সুপারিশকৃত মানের অনেক নীচে। ঘটনাচক্রে, গত বছরেই শাহবাজ় সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ২০২৯ সালের মধ্যে জিডিপির জিডিপির ৪ শতাংশ শিক্ষাখাতে ব্যয় করা হবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শিক্ষা সংগঠন।
আরও পড়ুন:
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে পাকিস্তানে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল প্রায় দু’ লক্ষ কোটি পাকিস্তানি টাকা। তার আগে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে পাকিস্তানে এই খাতে বরাদ্দ ছিল এক লক্ষ ৮০ হাজার কোটি পাকিস্তানি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষ থেকে বিদায়ী অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছিল ১৪.৯৮ শতাংশ। চলতি অর্থবর্ষে সেই বরাদ্দ আরও বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে শাহবাজ় সরকার।