প্রতীকী ছবি।
কয়েক মাস ধরে দিনের পর দিন ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন স্কুলপড়ুয়া ইভলিন বিয়েত্রিজ হার্নান্ডেজ। স্কুলের শৌচাগারে তাঁর সদ্যোজাত সন্তানের দেহ পাওয়া যায় ২০১৬-এর এপ্রিলে। বছর আঠারোর ওই তরুণীর বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ আনে, অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তানকে অযত্নে মেরে ফেলেছেন ইভলিন। আর সেই অপরাধে তাঁকে তিরিশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে এল সালভাদরের এক আদালত। ইভলিনের দাবি, অসুস্থ হয়ে পড়ার পরে শৌচাগারে গর্ভপাত হয়ে যায় তাঁর। এতে তাঁর কোনও হাতই ছিল না।
ইভলিনদের হয়ে যাঁরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা বলছেন, এটাই আশ্চর্যের বিষয় যে, আদালত ১৯ বছরের একটি মেয়েকে ৩০ বছরের জন্য জেলে পাঠালেও ধর্ষকের কোনও সাজাই হয়নি। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে এখনও ফেরার সে।
ধর্ষকের ধরা না পড়া ঘটনা বিরল ঘটনা নয়। তার চেয়েও ঢের বড় সমস্যা হলো, মধ্য আমেরিকার এই ছোট্ট দেশটিতে যে কোনও অবস্থাতেই গর্ভপাত করানোটা আইনত নিষিদ্ধ। গর্ভস্থ সন্তান বা মায়ের জীবনহানির আশঙ্কা থাকলেও গর্ভপাত অবৈধ। কুড়ি বছর আগে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল মিলে সংসদে এই আইন পাশ করিয়েছিল। যার ফল ভুগতে হচ্ছে মূলত ধর্ষিতা কিংবা দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের।
আদালত ইভলিনকে ৩০ বছর কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে। তরুণীর মায়ের বিরুদ্ধেও ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। অথচ ডাক্তারি পরীক্ষার পরেও এটা স্পষ্ট নয় যে, গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু আগেই হয়েছিল নাকি তাকে জন্মের পর মেরে ফেলা হয়েছে। ইভলিনের দাবি, এক দুষ্কৃতী একাধিক বার ধর্ষণ করায় তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু প্রসবের আগে পর্যন্ত তা বুঝতে পারেননি তিনি। প্রসবের পর পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হওয়ায় ইভলিনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্কুলের শৌচাগারে শিশুর দেহ উদ্ধারের পর তদন্তে নামে পুলিশ। গ্রেফতার করে ইভলিনকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy