Advertisement
E-Paper

‘ভর্তুকি বন্ধ করে দেবেন? করুন না!’ পাততাড়ি গুটিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি শোনার পর ট্রাম্পকে আবার চ্যালেঞ্জ করলেন মাস্ক

‘বড় সুন্দর বিল’-কে কেন্দ্র করে মাস্ক এবং ট্রাম্পের অশান্তির সূত্রপাত। এই বিল নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন টেসলা-কর্তা। তিনি নতুন দল ঘোষণার কথা জানান। তারই জবাব দেন ট্রাম্প। এ বার তাঁকে পাল্টা উত্তর দিলেন মাস্ক।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৫ ১৫:২৯
Elon Musk challenged Donald Trump after subsidies threat

(বাঁ দিকে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং টেসলা-কর্তা ইলন মাস্ক (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আবার সংঘাতে জড়িয়ে পড়লেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। ট্রাম্পের ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারির জবাব দিলেন তিনি। এক্স হ্যান্ডলে মাস্ক পোস্ট করে জানান, অবিলম্বে যেন ট্রাম্পের ‘নির্দেশ’ মানা হয়। অর্থাৎ তাঁর কোম্পানির ভর্তুকি বন্ধ করে দিক মার্কিন প্রশাসন। তাঁর এই পোস্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই অনেকের দাবি, তাঁর সংস্থার ভর্তুকি বন্ধ হলেও তাঁকে যে ‘পাততাড়ি গুটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ফিরে যেতে’ হবে না সে ব্যাপারে মাস্ক আত্মবিশ্বাসী!

‘বড় সুন্দর বিল’-কে কেন্দ্র করে মাস্ক এবং ট্রাম্পের অশান্তির সূত্রপাত। এই বিল নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন টেসলা-কর্তা। তিনি কার্যত ঘোষণার সুরেই জানিয়েছেন, যদি ‘বড় সুন্দর বিল’ পাশ হয়, তবে তার পরের দিনই নতুন দল ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠিত হবে! মাস্কের এই ঘোষণা নিয়ে মুখ খোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর দাবি, ভর্তুকির উপরেই টিকে রয়েছে মাস্কের সংস্থা। ভর্তুকি না পেলে ব্যবসা বন্ধ করে তল্পিতল্পা গুটিয়ে মাস্ককে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যেতে হত।

‘বড় সুন্দর বিল’ নিয়ে মার্কিন সেনেটে আলোচনা, ভোটাভুটি চলছে। তার মধ্যেই মাস্ক এবং ট্রাম্প আবার এক বার সংঘাতে জড়ালেন। টেসলা-কর্তা জানান, ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান দলের বাইরে একটি বিকল্পের প্রয়োজন, যাতে সাধারণ মানুষ নিজেদের কণ্ঠস্বর খুঁজে পায়। নতুন দল গঠনের কথাও জানান মাস্ক। তাঁকে জবাব দিতে দেরি করেননি ট্রাম্প। নিজের ট্রুথ সোশ্যালে এক দীর্ঘ পোস্টে মাস্ককে নিশানা করেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, মাস্ক যে পরিমাণ ভর্তুকি পেয়েছেন, অতীতে আর কেউ সেই পরিমাণ ভর্তুকি পাননি। যদি তিনি এত ভর্তুকি না-পেতেন তবে তাঁকে হয়তো ব্যবসা গুটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ফিরে যেতে হত! মাস্ক আমেরিকার নাগরিক হলেও জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়। তাই মাস্ককে তাঁর নিজের জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়ার খোঁচা দেন ট্রাম্প।

মাস্কের কোম্পানির তৈরি ‘বৈদ্যুতিক গাড়ি’ নিয়ে আপত্তি তোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর দাবি, বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে সকলকে বাধ্য করা উচিত নয়। তিনি যে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিরোধী, তা-ও উল্লেখ করেন ট্রাম্প। আর এই কথা মাস্কও জানেন বলে দাবি মার্কিন প্রেসিডেন্টের। যদি ভর্তুকি বন্ধ করা হয় তবে মাস্কের কী অবস্থা হবে তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ট্রাম্প দাবি করেন, “আর কোনও রকেট উৎক্ষেপণ, উপগ্রহ বা বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদন থাকবে না এবং আমাদের দেশের ভাগ্য ফিরবে। হয়তো আমাদের সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতরকে (ডিওজিই) এটি ভাল ভাবে, কঠোর ভাবে দেখার জন্য বলা উচিত। আমাদের অনেক অর্থ বাঁচাতে হবে।” ট্রাম্পের সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন মাস্ক।

ট্রাম্প এবং মাস্কের সম্পর্ক একসময় সুমধুর ছিল। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বার বার ট্রাম্পের হয়ে প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল মাস্ককে। এমনকি, দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরে ডিওজিই-র মাথায় টেসলা-কর্তাকে বসিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু সেই বন্ধুত্ব বেশি দিন টেকেনি। ট্রাম্পের ‘বড় সুন্দর বিল’ ঘোষণার পর থেকেই দু’জনের মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়। ট্রাম্প যেটিকে ‘বড় সুন্দর বিল’ বলে ব্যাখ্যা করছেন, সেটি আসলে আমেরিকায় কর এবং ব্যয় সংকোচনের জন্য তৈরি একটি অর্থবিল। তবে শুরু থেকেই এই বিলের ঘোর বিরোধী মাস্ক। আবার সেই বিল নিয়ে সংঘাত প্রকাশ্যে এল।

Elon Musk Donald Trump
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy