Advertisement
E-Paper

‘ওয়াশিংটনের সবচেয়ে কুখ্যাত অপরাধী!’ ট্রাম্পকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বিপাকে মাস্কের ‘গ্রোক’

এই প্রথম নয়, এর আগেও বেশ কয়েক বার বিতর্কে জড়িয়েছে গ্রোক। গত মাসেই অ্যাডলফ হিটলারের প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছিল এই এআই চ্যাটবটকে। নতুন করে ইহুদিনিধনের আহ্বানও দিয়েছিল গ্রোক।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৫ ১৭:৩৬
(বাঁ দিকে) ইলন মাস্ক। ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)

(বাঁ দিকে) ইলন মাস্ক। ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে) — ফাইল চিত্র।

ওয়াশিংটনের ‘সবচেয়ে কুখ্যাত দুষ্কৃতী’ খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! এমনই উত্তর দিয়ে ফের বিতর্কে ইলন মাস্কের সংস্থা এক্স-এর এআই চ্যাটবট ‘গ্রোক’। জনৈক এক্স ব্যবহারকারীর প্রশ্নে গ্রোকের সোজাসাপটা উত্তর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

বিতর্কের সূত্রপাত গত রবিবার। জনৈক এক্স ব্যবহারকারী মার্কিন ধনকুবের ইলনের সংস্থার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবটকে প্রশ্ন করেছিলেন, আমেরিকার রাজধানীতে সবচেয়ে কুখ্যাত অপরাধী কে? জবাবে গ্রোক জানায়, ওয়াশিংটনের সবচেয়ে কুখ্যাত দুষ্কৃতী ডোনাল্ড ট্রাম্প! একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক নথিতে জালিয়াতির জন্য নিউ ইয়র্কে তাঁর বিরুদ্ধে অন্তত ৩৪টি অভিযোগ রয়েছে বলেও জানায় গ্রোক। আর এক ব্যবহারকারী জানতে চান, মার্কিন মুলুকে অপরাধমূলক কাজ কি কমছে? উত্তরে গ্রোক আবারও লেখে, ‘‘হ্যাঁ, ২০২৫ সালে ওয়াশিংটনে সহিংস অপরাধ ২৬ শতাংশ কমেছে,যা পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ৩০ বছরে সর্বনিম্ন। তবে দোষী সাব্যস্ততা এবং কুখ্যাতির নিরিখে এখানকার সবচেয়ে কুখ্যাত অপরাধী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।’’ সেই কথোপকথন প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

সম্প্রতি ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ওয়াশিংটনে অপরাধমূলক কার্যকলাপ ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ চলে গিয়েছে। শহরের পুলিশ বাহিনীর কেন্দ্রীয়করণ এবং রাস্তায় ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের কথাও ভাবছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সেই আবহেই প্রকাশ্যে এসেছে গ্রোকের এই বিতর্কিত মন্তব্য। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও বেশ কয়েক বার বিতর্কে জড়িয়েছে গ্রোক। গত মাসেই অ্যাডলফ হিটলারের প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছিল এই এআই চ্যাটবটকে। নতুন করে ইহুদিনিধনের আহ্বানও দিয়েছিল গ্রোক।

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে প্রায় তলানিতে ঠেকেছে এক সময়ের দুই ‘বন্ধু’ ট্রাম্প ও ইলনের সম্পর্ক। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে ট্রাম্পের পাশে ছিলেন টেসলা-কর্তা। ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প প্রশাসনে বিশেষ পদও পেয়েছিলেন। তাঁর জন্য গড়ে দেওয়া হয়েছিল আলাদা একটি দফতর। সরকারি দক্ষতা বিষয়ক সেই দফতর (ডিওজিই)-র কাজ ছিল অপ্রয়োজনীয় খরচে কাটছাঁট করে সরকারের সাশ্রয়ের ব্যবস্থা করা। কিন্তু সম্প্রতি ট্রাম্পের ‘বড় ও সুন্দর’ বিল নিয়ে দু’জনের মধ্যে মতবিরোধ শুরু হয়। ট্রাম্পকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেও ছাড়েননি মাস্ক। সেই বিল এখন আইনে পরিণত হয়েছে। এতদিনে ট্রাম্প-মাস্ক ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’ও থেমেছে। সেই আবহে খোদ ট্রাম্পকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসল মাস্কের এআই চ্যাটবট!

Donald Trump Elon Musk Grok Washington DC US
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy