Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Donald Trump

‘যথেষ্ট ভুয়ো খবর ছড়িয়েছেন’, ট্রাম্পের ওয়েবসাইট হ্যাক করে বার্তা হ্যাকারদের

ক্রিপ্টোকারেন্সির বিনিময়ে ট্রাম্প এবং তাঁর পরিবার সম্পর্কে গোপন তথ্য প্রকাশ করা হবে বলেও জানায় হ্যাকাররা।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২০ ১৩:৪৫
Share: Save:

কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়া একেবারেই না পসন্দ তাঁর। তার জন্য প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের খবরকেও হামেশাই ‘ফেক নিউজ’ বলে দাগিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এ বার দুনিয়ার সামনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই ভুয়ো খবর ছড়ানোর জন্য দায়ী করল একদল হ্যাকার। নির্বাচনী প্রচারের জন্য তৈরি ট্রাম্পের ওয়েবসাইট হ্যাক করে তারা লিখল, ‘যথেষ্ট ভুয়ো খবর ছড়িয়েছেন ট্রাম্প। গোটা দুনিয়া তার সাক্ষী’।

আগামী ৩ নভেম্বর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেই উপলক্ষে প্রচারে ব্যস্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি কোথায়, কখন সভা করছেন, নির্বাচনী প্রচারের জন্য কত টাকা চাঁদা উঠল, donaldjtrump.com নামের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে তাতে সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য তুলে ধরেছে তাঁর নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্বে থাকা সংস্থা।

মঙ্গলবার রাতে ওই ওয়েবসাইটিই হ্যাক করে একদল হ্যাকার। তাতে লেখা হয়, ‘এই সাইটটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রত্যেক দিন যথেষ্ট ভুয়ো খবর ছড়িয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গোটা দুনিয়া তার সাক্ষী। এ বার সত্যিটা জানার সময় এসেছে। ট্রাম্প এবং ওঁর আত্মীয়দের সম্পর্কে অনেক তথ্য গোপন তথ্য হাতে এসেছে’।

আরও পড়ুন: শুরুর দিকে ফল না-ও মিলতে পারে, করোনা টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সন্দিহান ব্রিটেন

করোনা পরিস্থিতির জন্য শুরু থেকেই চিনকে দায়ী করে এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু বিশ্ব জুড়ে যে অতিমারি নেমে এসেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের অন্দরেই তার শিকড় গজিয়েছিল বলেও দাবি করে হ্যাকাররা। তারা লেখে, ‘আমাদের কাছে এমন সব তথ্য রয়েছে, যা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষে কলঙ্কের। বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে অপরাধমূলক ভাবে ২০২০-র নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে কলকাঠি নাড়ছেন’।

ক্রিপ্টোকারেন্সির বিনিময়ে ট্রাম্প এবং তাঁর পরিবার সম্পর্কে গোপন তথ্য প্রকাশ করা হবে বলেও জানায় হ্যাকাররা। তার কিছু ক্ষণ পরেই যদিও ওয়েবসাইটটি অফলাইন হয়ে যায়। পরে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে। এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়লে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্বে থাকা সংস্থার মুখপাত্র টিম মারটফ বলেন,‘‘ওয়েবসাইটিট বিকৃত করা হয়েছিল। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেহাত হয়ে যায়নি কারণ সেই ধরনের কোনও তথ্য ওয়েবসাইটে আপলোডই করা হয়নি। ওয়েবসাইটটি আবার আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে।’’

ইরান এবং রাশিয়ার মতো বহিঃশত্রুরা ভোটারদের তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে বলে চলতি মাসের শুরুতেই সতর্ক করেছিলেন আমেরিকার গোয়েন্দা আধিকারিকরা। ২২ অক্টোবর একটি সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের ডিরেক্টর জন র‌্যাডক্লিফ জানান, ইরান থেকে প্রতারণামূলক ইমেল আসতে শুরু করেছে। ভোটারদের মনে ভীতি সঞ্চার করে, সামাজিক অশান্তি তৈরি করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাবমূর্তি নষ্ট করাই তাদের লক্ষ্য। তবে মঙ্গলবার ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়ার পিছনে কোনও বহিঃশত্রুর হাত রয়েছে, নাকি সাইবার অপরাধীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনও নির্দিষ্ট ভাবে জানা যায়নি।

আরও পড়ুন: পম্পেয়ো বার্তায় ক্ষুব্ধ চিন, ‘তৃতীয় পক্ষ’ আমেরিকার হস্তক্ষেপ নয়, বার্তা বেজিংয়ের​

তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হল্যান্ডের এক সাইবার নিরাপত্তা গবেষক জানিয়েছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার হ্যান্ডলের পাসওয়ার্ড জেনে ফেলেছেন তিনি। ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়া নিরাপত্তা সম্পর্কে বিশেষ ওয়াকিবহাল নন। তাই খুব সহজেই তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকে পড়তে পেরেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন ওই গবেষক।

তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতে, অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা মোটেই সহজ কাজ নয়। দিন কয়েক আগেই তিনি বলেন, ‘‘কারও অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা যায় না। অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার জন্য অন্তত ১৯৭ আইকিউ থাকা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি, পাসওয়ার্ডের ১৫ শতাংশ অন্তত জানতে হবে হ্যাকারকে।’’ তবে মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE