Advertisement
E-Paper

২০২৮ সালের মধ্যে রাশিয়ার থেকে তেল কেনা পুরোপুরি বন্ধ করা হবে! ট্রাম্পের চাপেই কি সিদ্ধান্ত নিল ইউরোপীয় জোট?

ট্রাম্প অতীতে বার বার অভিযোগ করেছেন, তেল বিক্রির টাকা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহার করছে রাশিয়া। ইউরোপীয় নেতাদেরও গত মাসে এ বিষয়ে সতর্ক করে দেন তিনি। অনুমান করা হচ্ছে, ইউরোপীয় জোটের সিদ্ধান্তের নেপথ্যেও রয়েছে ট্রাম্পের সেই সতর্কবার্তা।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:১০
(বাঁ দিকে) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

রাশিয়া থেকে তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস কেনা পুরোপুরি বন্ধ করে দেবে ইউরোপীয় দেশগুলি। সোমবার এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় কাউন্সিল। ইউরোপীয় কাউন্সিল জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে মস্কো থেকে তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি ধাপে ধাপে কমিয়ে আনা হবে। ২০২৮ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে তারা রাশিয়া থেকে সেগুলি কেনা সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দেবে।

রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে সম্প্রতি বার বার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউরোপীয় নেতাদেরও এ বিষয়ে গত মাসে সতর্ক করেছেন তিনি। এই পরিস্থিতির মাঝেই সোমবার ইউরোপের লুক্সেমবার্গে বৈঠকে বসেছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলির শক্তিসম্পদ মন্ত্রীরা। ওই বৈঠকে রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি ধাপে ধাপে কমিয়ে এনে, ২০২৮ সালের মধ্যে তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কী কারণে এই সিদ্ধান্ত তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে অনেকেই মনে করছেন, ইউরোপীয় জোটের এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে থাকতে পারে ট্রাম্পের চাপ।

ট্রাম্প অতীতে বার বার অভিযোগ করেছেন, তেল বিক্রির টাকা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহার করছে রাশিয়া। গত মাসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি এবং ইউক্রেনের ইউরোপীয় ‘বন্ধু’দের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন ট্রাম্প। ওই বৈঠকেও ট্রাম্প দাবি করেন, ইউরোপের দেশগুলি রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করলেই যুদ্ধের অবসান হবে। কারণ, জ্বালানি বিক্রির টাকা থেকেই নাকি মস্কো যুদ্ধের জন্য মূলধন পাচ্ছে। ট্রাম্পের দাবি, মাত্র এক বছরে ইউরোপে জ্বালানি (তেল ও গ্যাস) বিক্রি করে প্রায় ১১০ কোটি ইউরো উপার্জন করেছে মস্কো।

বস্তুত, রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য ভারতের উপর ইতিমধ্যে ‘জরিমানা’ চাপিয়েছেন ট্রাম্প। ভারতীয় পণ্যের উপর চড়া হারে শুল্ক নেওয়া হয় আমেরিকার বাজারে। সোমবারও ট্রাম্প দাবি করেছেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ না-করলে দিল্লির উপর ওই চড়া হারে শুল্ক কার্যকর থেকে যাবে। এ অবস্থায় ট্রাম্পের গত মাসের সতর্কবার্তাকে ইউরোপীয় জোট গুরুত্ব গিয়ে দেখছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশনীতির প্রধান কাজা কালাস সোমবার বলেন, “রাশিয়াকে দেখে আমাদের একেবারেই মনে হচ্ছে না যে তারা শান্তি চায়।” রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হতে পারে, এমন আভাসও দিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে রাশিয়াও সোমবার দাবি করেছে, ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনার বিষয়টি তারা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। আমেরিকার সঙ্গে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানিয়েছে ক্রেমলিন।

Donald Trump Vladimir Putin Volodymyr Zelenskyy Russian Oil
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy