Advertisement
১৮ মে ২০২৪
Coronavirus

Coronavirus: ৮০ শতাংশের টিকাকরণেও বাড়ছে সংক্রমণ, ইউরোপের অবস্থা কি ভারতের জন্য আগাম সতর্কবার্তা

অতিমারির শুরু থেকে দেখা গিয়েছে, সংক্রমণের ঢেউ প্রথমে আছড়ে পড়েছে ইউরোপের দেশগুলিতেই। পরে সেই তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়েছে আমেরিকা, ভারতে।

 সচেতনতা বাড়াতে এবং সকলের টিকাকরণ নিশ্চিত করতে ভিয়েনার এক দোকানে পুলিশি পরিদর্শন। মঙ্গলবার।

সচেতনতা বাড়াতে এবং সকলের টিকাকরণ নিশ্চিত করতে ভিয়েনার এক দোকানে পুলিশি পরিদর্শন। মঙ্গলবার। রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
জেনিভা শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২১ ০৫:২৬
Share: Save:

৮০ শতাংশের টিকাকরণের পরেও যে হারে ইউরোপে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে ভারত, আমেরিকার জন্য আসন্ন বিপদের আঁচ পাচ্ছেন সংক্রামক রোগ-বিশেষজ্ঞরা।

অতিমারির শুরু থেকে দেখা গিয়েছে, সংক্রমণের ঢেউ প্রথমে আছড়ে পড়েছে ইউরোপের দেশগুলিতেই। পরে সেই তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়েছে আমেরিকা, ভারতে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে ইউরোপে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। মহাদেশে ৮০ শতাংশের বেশি টিকাকরণ সম্পূর্ণ হওয়ার পরেও এটাই সংক্রমণের বাস্তব চিত্র। হু-এর মতে, অতিমারির শুরু থেকে সাত দিনে এটি সর্বোচ্চ সংক্রমণ-পরিসংখ্যান। ওই সাত দিনে ইউরোপে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার মানুষের। যা গত সাত দিনে বিশ্বের মোট মৃতের সংখ্যার প্রায় অর্ধেক। তা হলে কি সত্যি হতে চলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর হান্স ক্লুগের সতর্কবার্তা? আগামী কিছু দিনের মধ্যে ইউরোপই কি হয়ে উঠতে চলেছে সংক্রমণের ভরকেন্দ্র? এমনই নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন বিশেষজ্ঞেরা। তবে চিকিৎসকদের মতে, ইউরোপে এ বার সংক্রমণ বাড়লেও টিকাকরণের জেরে রোগের বাড়াবাড়ি অনেকটাই আটকানো গিয়েছে।

বিশ্বের এক প্রান্তে যখন টিকা নিয়েও সংক্রমণ হুড়মুড় করে বাড়ছে, তখন নিউজ়িল্যান্ডে টিকাবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সম্প্রতি ওয়েলিংটনে পার্লামেন্টের সামনে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান কয়েক হাজার মানুষ। তাতে স্থানীয় মাওরি উপজাতিদের বিখ্যাত নাচ ‘কা মাতে হাকা’ নেচে প্রতিবাদ জানান এক দল। এতেই চটেছেন উপজাতির মানুষেরা। টিকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তা বুঝেছেন মাওরিরা। সম্প্রতি রেডিয়ো বার্তায় এক মাওরি নেতা বলেন, ‘‘ওঁদের (বিক্ষোভকারী) অবস্থানকে সমর্থন করি না। আমাদের ঐতিহ্যবাহী নাচকে এর সঙ্গে যুক্ত করা উচিত হয়নি।’’

অন্য দিকে, অস্ট্রেলিয়ায় করোনা টিকা নেওয়ার পরে রক্ত জমাট বাঁধা, মাথা ব্যথা, হাত অবশ হয়ে যাওয়ার মতো বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগ মিলেছে। তার জেরে হাসপাতালে ভর্তির কিছু ঘটনাও ঘটেছে। যার ফলে কাজ হারিয়েছেন অনেকে। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সরকার তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সম্প্রতি দেশের একটি প্রথম সারির দৈনিক সরকারি তথ্যের ভিত্তিতে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। তাতে জানা গিয়েছে, ক্ষতিপূরণের জন্য ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ আবেদন জানিয়েছেন। তাতে সরকারের ৩.৭০ কোটি ডলারেরও বেশি খরচ হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE