ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ২০২০-র ভোটে হেরেও জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ক্ষমতায় থাকার ছক কষেছিলেন— তা আরও এক বার সামনে এল সদ্য প্রকাশ্যে আসা এক খসড়া নির্দেশে। হোয়াইট হাউসে তিন পাতার একটি নির্দেশের খসড়া তৈরি করা হয়েছিল, যেটিতে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য অবিলম্বে সব মেশিন, সরঞ্জাম, বৈদ্যুতিন ভাবে সংরক্ষিত তথ্য এবং নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করতে বলা হয়েছিল প্রতিরক্ষা সচিবকে। ঘটনাচক্রে ২০২০-র ১৬ ডিসেম্বরের সেই নির্দেশে শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পের স্বাক্ষর করা হয়নি।
নির্দেশটিতে ভোট সংক্রান্ত যন্ত্র-সরঞ্জাম ও তথ্য কব্জায় নেওয়ার কথা বলা হয়েছে স্পষ্ট ভাবে। মনে করা হচ্ছে, মার্শালদের দিয়ে দেশের ৫০টি প্রদেশের ব্যালট ‘পুনর্গণনার জন্য’ বাজেয়াপ্ত করার পরিকল্পনা করছিল ট্রাম্প প্রশাসন। বিশেষ নিশানায় ছিল ব্যালট চিহ্নিত করার টাচ-স্ক্রিন মেশিনগুলিও। এখানেই শেষ নয় ভোটের যন্ত্র-নথি-তথ্য বাজেয়াপ্ত করলে অভিযোগের ঝড় ওঠা নিশ্চিত বুঝে, তার মোকাবিলায় আগেভাগেই এক জন বিশেষ আইনজীবী নিয়োগের কথাও বলা হয়েছিল ওই খসড়ায়।
ইভিএমে যে কারচুপি হয়, নানা ভাবে তা স্পষ্ট হয়ে ওঠায় বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রের পাশাপাশি আমেরিকায় কাগজের ব্যালটও ব্যবহার হয়। কিন্তু সেই কাগজের ব্যালট গোনা থেকে শুরু করে ভোটারদের স্বাক্ষর যাচাই— বিভিন্ন পর্যায়ে বৈদ্যুতিন যন্ত্রের ব্যবহার কিন্তু চলেই আসছে। ফলে ট্রাম্প-বাহিনী এক বার সেই সব যন্ত্র কব্জা করার সুযোগ পেলে হয়তো জো বাইডেনের প্রেসিডেন্ট হওয়াই হত না। পরে ২০২১-এ ক্যাপিটল হিলে হামলায় ইন্ধন জুগিয়ে ক্ষমতার হস্তান্তর রোখার চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প। যে কারণে তাকে ইমপিচ্ড-ও হতে হয়েছে।