প্রতীকী ছবি।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের মুখে দাঁড়িয়ে পেনসিলভেনিয়ার এক যুবক। স্থানীয় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রঘুনন্দন ইয়াঁদমুরি নামে ওই যুবকের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ কার্যকর করা হবে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি। ওই নির্দেশ কার্যকর হলে তিনিই হবেন প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক, যাঁর মৃত্যুদণ্ড হবে। তবে আইনি জটের ফাঁক গলে শেষমেশ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরতে পারেন রঘুনন্দন।
পেনসিলভেনিয়া পুলিশ জানিয়েছে, ৬১ বছরের এক বৃদ্ধা ও তাঁর ১০ মাসের নাতনিকে অপহরণ করে খুনের দায়ে ২০১৪-তে মৃত্যুদণ্ডের সাজা হয় রঘুনন্দনের। আদতে অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা রঘুনন্দন এইচ-১বি ভিসা নিয়ে আমেরিকায় গিয়েছিলেন। উচ্চশিক্ষিত রঘুনন্দন ইলেকট্রিক্যাল ও কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অ্যাডভান্সড ডিগ্রিধারী। তবে মোটা টাকার লোভেই অপরাধ করেছিলেন ৩২ বছরের ওই যুবক।
আদালতে মামলা চলাকালীন নিজের অপরাধ স্বীকারও করে সে। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর বিচারকের কাছে নিজেই মৃত্যুদণ্ডের সাজার আবেদন করে। কিন্তু, পরে মত পাল্টে আদালতে সাজা মকুবের আবেদন করে রঘুনন্দন। গত বছরের এপ্রিলে রঘুনন্দনের সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। এর পর তার মৃত্যুদণ্ডের দিন ধার্য করা হয় আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু, এর পরেও সাজা মকুবের একটা সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন
প্রথম মহিলা: সুপ্রিম কোর্টে সরাসরি বিচারপতি হতে যাচ্ছেন আইনজীবী ইন্দু
কী ভাবে? ২০১৫-তে পেনসিলভেনিয়ায় গভর্নর টম উলফ সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিলেন। পেনসিলভেনিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব কারেকশনসের তরফে সম্প্রতি একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “আইন অনুযায়ী, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডাদেশের ওয়ারেন্টে গভর্নরকে স্বাক্ষর করতে হয়। তবে তা না করা হলে ৩০ দিনের মধ্যে ডিপার্টমেন্টের সচিব মৃত্যুদণ্ডাদেশের নোটিস জারি করতে পারেন।”
আরও পড়ুন
সিগারেট পেপার না দেওয়ায় মার, লন্ডনে মৃত্যু ভারতীয় বংশোদ্ভূতের!
তা হলে কেন রঘুনন্দনের সাজা মকুবের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে? স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, পেনসিলভেনিয়া প্রশাসনের তরফে মৃত্যুদণ্ড নিয়ে একটি সমীক্ষা হয়েছে। ওই স্টেট-এ মৃত্যুদণ্ড আদৌ কার্যকর করা হবে কি না তা নিয়ে সমীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ওই সমীক্ষার রিপোর্ট এখনও হাতে পায়নি প্রশাসন। ফলে এখনও ঝুলে রয়েছে রঘুনন্দনের ভাগ্য!
সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy