Advertisement
E-Paper

ঘর ছাড়তে ফের চাপ, চড়া সুর জার্মানিরও

নাছোড়বান্দা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। জোট ছাড়া নিয়ে আজ ব্রিটেনের উপর চাপ আরও বাড়াল ইইউ পার্লামেন্ট। ব্রেক্সিট রায়ের পর আজই প্রথম ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে বসতে চলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৬ ০২:৪৮

নাছোড়বান্দা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

জোট ছাড়া নিয়ে আজ ব্রিটেনের উপর চাপ আরও বাড়াল ইইউ পার্লামেন্ট। ব্রেক্সিট রায়ের পর আজই প্রথম ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে বসতে চলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। তার আগে ইইউ পার্লামেন্টের বিশেষ বৈঠকে ব্রিটেনকে দ্রুত অবস্থান স্পষ্ট করার কথা জানালেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লঁদ জুনকার। তাঁর কথায়, ‘‘আজ বা কাল সকালের মধ্যে আলোচনা শুরু করার কথা বলছি না, কিন্তু অনির্দিষ্ট কালের জন্য এই অনিশ্চয়তা মেনে নেওয়া যায় না।’’

গণভোটে ৫২ শতাংশ ব্রিটিশ নাগরিক ইইউ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। অভিযোগ, তার পরেও ব্রিটেন নাকি ইউরোপের বাজার ছেড়ে বেরোতে চাইছে না। অথচ ইইউ-ভুক্ত দেশগুলি থেকে অভিবাসীদের ঢুকতে দেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যে কড়াকড়ি শুরু করে দিয়েছে ব্রিটেন। বাড়ছে বর্ণবিদ্বেষের ঘটনাও। আজ জার্মান পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল হুঁশিয়ারি দেন, ‘‘তুমি পরিবার ছেড়ে বেরিয়ে যেতে চাইবে, আবার সুবিধাটুকুও নিতে থাকবে— সেটা কিছুতেই হতে পারে না।’’

লিসবন চুক্তির ৫০ নম্বর অনুচ্ছেদ মেনে ব্রিটেনেরই ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরুর কথা। কিন্তু অক্টোবরের আগে তা চাইছেন না ক্যামেরন। আর ইইউ-এর আপত্তির জায়গাটা এখানেই। ইইউ পার্লামেন্টের বিশেষ বৈঠকে আজ ছিলেন ব্রেক্সিটপন্থী ব্রিটেনের ইউকেআইপি নেতা নাইজেল ফারাজ। জুনকার তাঁকেও একহাত নিয়ে বলেন, ‘‘জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার জন্যই তো আপনাদের এত লড়াই। মানুষের ভোটও পেয়েছেন। এর পরেও আপনারা এখানে কেন!’’ ব্রেক্সিটের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ বেড়েই চলেছে ইইউ-এর সদস্য দেশের বড় অংশে। নাইজেলকে আজ নাগালে পেয়ে তা উগরেও দেন বেলজিয়ামের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা পার্লামেন্টের লিবারাল নেতা জি ভেরফস্টাট। অভিবাসন নীতি নিয়ে ইউকেআইপি নেতারা নাৎসিদের মতো করে ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রচার চালান বলে অভিযোগ করেন তিনি। আর লন্ডনের প্রাক্তন মেয়র বরিস জনসনও ব্রেক্সিট চেয়ে প্রচারের প্রথম সারিতে ছিলেন। তাঁকেও আজ ‘স্বার্থপর’ বলে কটাক্ষ করেন একাধিক দেশের নেতা। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট সূত্রের খবর, আজ ইইউ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ক্যামেরন ব্রেক্সিটের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী। কিন্তু জার্মানির সঙ্গে ফ্রান্স ও ইতালিও জানিয়েছে, এই পর্বে তারা শুধু ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিটেনের অবস্থান জানতে চায়।

ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ কী? দ্বিতীয় গণভোট নিয়ে হাউস অব কমন্সে মঙ্গলবার আলোচনা হওয়ার কথা। টালমাটাল বিরোধী লেবার পার্টি। অনাস্থা প্রস্তাবে হেরেছেন নেতা জেরেমি করবিন। তবে এখনও পদ ছাড়তে রাজি নন তিনি। ক্যামেরনের পরে নয়া নেতা বাছবে কনজারভেটিভ পার্টিও।

Germany violence
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy