প্রিয়ার মতোই সোশ্যাল মিডিয়ায় রাতারাতি বিখ্যাত হয়েছিলেন যাঁরা

প্রিয়া প্রকাশ ভেরিয়ার। একটিমাত্র ভিডিও ক্লিপে যিনি রাতারাতি ইন্টারনেট সেনসেশন হয়ে গিয়েছেন। ফেসবুক থেকে হোয়াটসঅ্যাপ, সর্বত্রই এখন চলছে প্রিয়ার ‘রাজত্ব’। ইনস্টাগ্রামে এক লাফে বেড়ে গিয়েছে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা। গুগল সার্চেও তিনি উঠে এসেছেন অনেকটাই। তবে প্রিয়াই প্রথম নয়। একটিমাত্র ছবি বা ভিডিওয় এর আগেও অনেকেই জনপ্রিয় হয়েছেন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তেমনই কয়েক জনকে।

২০১৬-এর শেষ দিকে ভাইরাল হয়েছিলেন এই ‘নেপালি সব্জিওয়ালি’র ছবি। যদিও বেশি দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় টেকেননি ইনি।

পোয়েত্রো বোসেলি: ইনিই নাকি ‘হটেস্ট’ অঙ্কের শিক্ষক। নিজের ম্যাথ টিচারের ছবি তুলে ইন্টারনেটে পোস্ট করেছিলেন লন্ডন ইউনিভার্সিটির এক ছাত্র।
পোস্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল সেই ছবি। এমন হ্যান্ডসাম অঙ্কের শিক্ষককে নাকি আগে দেখা যায়নি।

জেরেমি মেকস: ২০১৫ সালে দু’বছরের জন্য জেল হয়েছিল জেরেমির। সেই সময় তাঁর একটি ছবি নিয়ে হইচই পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তাঁর নীলচে চোখ আর সুপার জ-লাইন ঝড় তুলেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
পরে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে লস অ্যাঞ্জেলসে মডেলিং শুরু করেন জেরেমি মেকস।

লি মিনওয়ে: ২২ বছরের লি কাজ করত সিঙ্গাপুর এয়ারপোর্টে। কিন্তু কোনও এক ফোটোগ্রাফারের কারসাজিতে এখন ফেমাস মুখ তিনি।
গুড লুকিং এই পুলিশ অফিসারকে একবার দেখতে এখন নাকি প্রায়ই বিমানবন্দরে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

আরশাদ খান: পাকিস্তানের কোনও এক অখ্যাত গ্রামে চায়ের দোকানে কাজ করছিল আরশাদ।
অভ্যস্ত হাতে চা ঢালতে ঢালতে মুখ তুলে তাকিয়েছিল সে। ফোটো উঠল নিমেষে। আপলোড হল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সঙ্গে হ্যাশ ট্যাগ ‘নীল চোখ আর গরম চা’। দেখা গেল সত্যি! মুহূর্তে তুমুল জনপ্রিয় সেই নীল চোখের চায়েওয়ালা।
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এখন সে মডেল।

ওমর বুরকান আল গালা: উফ! হাজার নারীর হৃদয় চুরি করতে কয়েক সেকেন্ডও লাগে না তাঁর।
মাথায় কাপড়, চাপ দাড়ি, সাদা জামা, এক জোড়া চোখ।
এতেই কাবু গোটা সোশ্যাল মিডিয়া। একটা ছবির দৌলতে এখন তিনি ভ্যানকুবারের স্থায়ী বাসিন্দা এবং সেখানকার জনপ্রিয় মডেল।