Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Jacob Blake

‘গুলিতে ঝাঁঝরা আমার ছেলেটা কি আর উঠবে!’

সূত্রের খবর, জেকবের শারীরিক পরিস্থিতি এখনও আশঙ্কাজনক। 

জেকব ব্লেক। —ফাইল চিত্র

জেকব ব্লেক। —ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
কেনোশা (উইসকনসিন) শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২০ ০৬:১২
Share: Save:

সাতটা নয়, জেকব ব্লেকের গেঞ্জি টেনে ধরে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পর-পর আটটা গুলি চালিয়েছিল পুলিশ! গতকাল সংবাদমাধ্যমের কাছে এমনটাই দাবি করলেন জেকবের বাবা। ‘‘কোমরের নীচ থেকে ছেলেটার শরীর এখন অসাড়। আটটা ফুটো— ওরা আমার ছেলেটাকে পুরো ঝাঁঝরা করে দিয়েছে। ও কি আর আদৌ উঠতে পারবে কোনও দিন?’’ বললেন সিনিয়র জেকব ব্লেক। যুবকের পক্ষাঘাত সাময়িক কিনা, নিশ্চিত করেননি চিকিৎসকেরা। তবে সূত্রের খবর, জেকবের শারীরিক পরিস্থিতি এখনও আশঙ্কাজনক।

গত রবিবার প্রকাশ্য রাস্তায় মার্কিন পুলিশের ওই কৃষ্ণাঙ্গ-নির্যাতনের জেরে বিক্ষোভ-প্রতিবাদে সোমবার রাতও উত্তপ্ত হয়ে রইল উইসকনসিন প্রদেশের কেনোশা শহর। কার্ফুর তোয়াক্কা না-করেই পথে নামল বিক্ষুব্ধ জনতা। প্রতিবাদ মিছিল থেকেই পুলিশের দিকে উড়ে এল বাজি, বোতল। শুধু হাতাহাতি নয়, বিক্ষোভ দমনে পুলিশের বিরুদ্ধে দেদার লাঠিচার্জ ও প্রায় ৩০ মিনিট ধরে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানোর অভিযোগও উঠল।

গত কালই জেকবের মা সহনাগরিকদের শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মুখে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ বিক্ষোভে ফের উত্তাল মার্কিন মুলুক। রবিবার রাতের মতো গত কালও কার্ফু ভেঙে পুলিশের চোখে চোখ রেখেই স্লোগান দিল বিক্ষুব্ধ জনতা। স্লোগান উঠল, ‘নো জাস্টিস, নো পিস।’ রবিবারের ওই ঘটনা নিয়ে পুলিশ কিন্তু এখনও মুখে কুলুপ এঁটে। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের নামপ্রকাশ করা হয়নি। এক জন নিরস্ত্রকে কেন পিছন থেকে গুলি করতে হল, তারও ব্যাখ্যা মেলেনি কেনোশা পুলিশের তরফে।

ঘটনার যে ভিডিয়োটি রবিবার থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল, বছর বাইশের রেসিন হোয়াইট নামের এক যুবক জানিয়েছেন, সেটি তাঁর তোলা। সংবাদমাধ্যমকে আজ তিনি জানান, ঘটনার সময়ে ‘ছুরি ফেলে দাও’ বলে বার বার পুলিশকে তিনি চিৎকার করতে শুনেছিলেন। অথচ জেকব নিরস্ত্র ছিলেন বলেই দাবি রেসিনের। উইসকনসিনের গভর্নর টনি এভার্সও জানিয়েছেন, জেকবের হাতে কোনও রকম অস্ত্র ছিল বলে তাঁর জানা নেই।

এই ঘটনা নিয়ে গভর্নরের যাবতীয় মন্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়ে কেনোশা পুলিশ ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট পি ডিটস বলেন, ‘‘ভাইরাল ভিডিয়োই তো আর ঘটনার সবটা নয়। এমন নাটকীয় ঘটনার আগে-পরে কী হল, সবটাই জানতে হবে।’’ কিন্তু জানাবে কে? ‘তদন্ত চলছে’ বলে মুখ বন্ধ রেখেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, কেনোশা পুলিশের বডি-ক্যামেরা না-থাকলেও, বডি-মাইক্রোফোন আছে। ঘটনার তথ্যপ্রমাণ হিসেবে যা জমা পড়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jacob Blake Shot At USA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE