‘তোমাকে দেখাব নায়াগ্রা, তোমাকে শেখাব ভায়াগ্রা’—চন্দ্রবিন্দুর গানে হোক বা বন্ধ কপাটের আড়ালে, ভায়াগ্রার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল অনেকেরই। কিন্তু এত দিন তা ছিল শুধুমাত্র পুং-বীরদের যৌন উত্তেজনা বাড়ানোর ওষুধ। এ বার সেই তালিকায় নাম লেখালেন মার্কিন ললনারাও। ভারতীয়রা যদিও এখনও সে স্বাদে বঞ্চিত।
বহু বিতর্কের পর আমেরিকার ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ মহিলাদের যৌন উত্তেজনা বাড়ানোর ওষুধকে ছাড়পত্র দিল। অ্যডভাইসারি কমিটির ভোটাভুটিতে ১৮-৬ ফলাফলে এই লিবিডো ড্রাগ নিজের জয় নিশ্চিত করেছে। এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই বলে জানিয়েছেন এফডিআই কর্তৃপক্ষ। সরকারি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জোর দিচ্ছেন, ক্লান্তি, নিম্ন রক্তচাপ, অবসাদের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যাতে না হয় ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। তবে কারও রক্তচাপের সমস্যা থাকলে বা কেউ গর্ভনিরোধক কোনও ওষুধ খেলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে তবেই এই ওষুধ খাওয়া উচিত বলে মত তাঁদের। বহু নারীবাদী সংগঠন এফডিএ-র এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
এর আগে ২০১০ সালেও এই ওষুধের ছাড়পত্রের জন্য এফডিএতে ভোট হয়। কিন্তু তাতে গোহারা হারে লিবিডো। নিউ জার্সির রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রাগ বিশেষজ্ঞ টোবিয়াস জেরার্ড জানিয়েছেন, “অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বাজারের চাহিদা অনুযায়ী এই সময়ে এই ওষুধের ছাড়পত্র সঠিক সিদ্ধান্ত। ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ উইমেন অরগানাইজেশনের তরফে সুসান স্ক্যানলানের মতে, “যৌন জীবনে সমতার নিরিখে আমরা আজ এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলাম।”
হালকা গোলাপি রঙের একটা ট্যাবলেট প্রতি রাতে একটা করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যৌন জীবনে অনীহার ফলে বর্তমানে ভেঙে যাচ্ছে অনেক সম্পর্ক। তার কিছু প্রকাশ্যে আসে। কিছু বা লজ্জার চাদরে ঢাকা পড়ে থাকে অবহেলায়। এখন থেকে গোলাপি রঙের একটা ট্যাবলেট সেই সব সমস্যার কাছে যেন এক মুক্তির দরজা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy