Advertisement
E-Paper

হাসিনার পরে সিএএ নিয়ে ক্ষুব্ধ কারজাইও

কাশ্মীর ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেদের ভাবমূর্তি যাতে টাল না খায়, তা নিশ্চিত করার জন্য বেশ কিছু দিন ধরেই সক্রিয় সাউথ ব্লক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:২৫
রাইসিনা ডায়লগের মঞ্চে হামিদ কারজাই। ছবি: পিটিআই

রাইসিনা ডায়লগের মঞ্চে হামিদ কারজাই। ছবি: পিটিআই

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে বারবার নিজেদের ক্ষোভের বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত কাল নিজের মনোভাব ফের স্পষ্ট করেছেন তিনি। আজ তাঁর সুরে গলা মেলালেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। তাঁর কথায়, ভারত যেন মুসলমান-সহ সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কেই সমান দৃষ্টিতে দেখে। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আমরা কোনও হিন্দুর উপর নিপীড়ন করিনি। আমাদের গোটা দেশটাই নিপীড়নের শিকার। আফগানিস্তানের ৩টি প্রধান ধর্মের মানুষ, মুসলমান, শিখ এবং হিন্দুদের একই ভাবে সহ্য করতে হয়েছে তা।’’

কাশ্মীর ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেদের ভাবমূর্তি যাতে টাল না খায়, তা নিশ্চিত করার জন্য বেশ কিছু দিন ধরেই সক্রিয় সাউথ ব্লক। রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতৃত্বের কাছে ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে। একই ভাবে দিল্লিতে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের দূতদের ডেকেও একই ভাবে বোঝানো হচ্ছে।

নাগরিকত্ব বিলটি পেশের সময় সংসদের দুই কক্ষেই পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের তুলনা বারবার করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিষয়টি নিয়ে সরকারি ভাবে কাবুল কিছু না-বললেও কারজাইয়ের এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্র। বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, বর্তমান গনি সরকারের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ রয়েছে। ভুল বোঝাবুঝি না হয় যাতে, সজাগ থাকা হচ্ছে।

কাবুলের ক্ষোভ সামলে দেওয়া গেলেও ঢাকাকে বিশেষ দুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করছে মোদী সরকার। অগ্নিগর্ভ প্রতিবেশী বলয়ের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশই ভারতের নির্ভরশীল মিত্র হিসাবে রয়ে গিয়েছে। আগামী মার্চে বঙ্গবন্ধু শতবর্ষ উৎসবের সূচনায় ঢাকা যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তার আগে মনান্তরের বাষ্পটুকুকে সরিয়ে দিতে তৎপরতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত অক্টোবরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের সময় ৭টি চুক্তি এবং ৩টি নতুন প্রকল্পের ঘোষণা হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল পূর্ব এশিয়া থেকে বাংলাদেশ হয়ে ত্রিপুরায় গ্যাস সরবরাহ, চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর ব্যবহার, বাংলাদেশে দক্ষতাকেন্দ্র গড়ে তোলা, বাণিজ্যিক সমঝোতা বাড়ানোর মতো বিষয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলিকে।

Hamid Karzai Narendra Modi CAA
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy