নিউ ইয়র্কের ব্রংক্স-লেবানন হসপিটাল। ছবি:এএফপি।
দু’বছর আগে কর্মস্থলে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। এর জেরে চিকিৎসকের চাকরিও খোয়াতে হয় তাকে। গত কাল দুপুরে সে-ই তার আগের কর্মস্থল, নিউ ইয়র্কের ব্রংক্স-লেবানন হসপিটাল সেন্টারে ফিরে গিয়েছিল। সঙ্গে ছিল বন্দুক। এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ে সেখানে রীতিমতো হত্যালীলা চালায় সে। নিহত হন এক জন। আহত ৬ জন। আত্মঘাতী হয় আততায়ীও। নিউ ইয়র্ক পুলিশ তাকে শনাক্ত করে আজ জানিয়েছে, নাইজেরিয়ার নাগরিক, বছর পঁয়তাল্লিশের হেনরি বেলো আগে ওই হাসপাতালেরই চিকিৎসক ছিল। এটাই তার প্রথম অপরাধ নয়।
তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, হেনরির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বহু দিন ধরেই। ২০০৪ সালের অগস্টে তাঁর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন এক যুবতী। সেই সময়ে তাকে গ্রেফতারও করা হয়। ব্রংক্স-লেবানন হসপিটাল সেন্টারে সে যোগ দেয় ২০১৫ সালে। মাত্র ছ’মাসের মাথায় সেখানেও যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে হেনরির বিরুদ্ধে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে বরখাস্ত করার আগেই ইস্তফা দেয় হেনরি। পুলিশের ধারণা, সম্ভবত সেই আক্রোশেই ওই হাসপাতালে বন্দুক নিয়ে চড়াও হয়েছিল হেনরি। এর সঙ্গে সন্ত্রাসের কোনও যোগ নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন নিউ ইয়র্ক শহরের মেয়র বিল দে ব্লাসিও।
শুক্রবার বেলা প্রায় তিনটে। হাসপাতালে তখন বেশ ভিড়। সেই সময়ে হাসপাতালে ঢোকে হেনরি। পরনে ল্যাব কোট। সঙ্গে পরিচয়পত্রের জাল বা বাতিল কোনও কার্ড। একটি এআর-১৫ রাইফেল লুকোনো ছিল কোটের তলায়। হেনরি এ ভাবেই পৌঁছে যায় ১৬ তলায়। শুরু করে গুলি চালাতে। ৯১১-য় ফোন করেন কেউ। পুলিশ এসে ১৬ তলা থেকে এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করে। ৬ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পাঁচ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিজের মাথায় গুলি করে ও গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে হেনরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy