Advertisement
E-Paper

নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেলেন জেলবন্দি ইমরান, কেন তিনি দাবিদার?

পাক প্রধানমন্ত্রী তথা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রতিষ্ঠাতা-প্রধান ইমরান খান দুর্নীতি ও ‘গোপন রাষ্ট্রীয় তথ্য’ ফাঁসের মামলায় বর্তমানে জেলবন্দি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৫ ২২:৩৬
ইমরান খান।

ইমরান খান। —ফাইল চিত্র।

চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সুপারিশ করা যাঁদের নাম নরওয়ে নোবেল কমিটিতে মনোনয়ন পেয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রধান বর্তমানে দুর্নীতি ও ‘গোপন রাষ্ট্রীয় তথ্য’ ফাঁসের মামলায় জেলবন্দি। পাকিস্তানে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবেই তাঁর এই মনোনয়ন।

‘পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স’ (পিডব্লুএ) নামে একটি মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নজরদারি সংস্থার তরফে নরওয়ের রাজনৈতিক দল পার্টিয়েট সেন্ট্রামের কাছে ইমরানকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার আবেদন জানানো হয়েছিল। তারই ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ। পার্টিয়েট সেন্ট্রামের তরফে এক্স পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘‘আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার অধিকার রয়েছে—এমন সংস্থার সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে আমরা পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে তার কাজের জন্য মনোনীত করেছি।’’

এর আগে, ২০১৯ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রচারের প্রচেষ্টার জন্য ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। সে বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি বালাকোট পরবর্তী পরিস্থিতি পাক যুদ্ধবিমান এফ-১৬ ধাওয়া করা, তার পর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাক সেনার হাতে ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ধরা পড়ার ঘটনা থেকেই সূত্রপাত। সে সময় ইমরানের সিদ্ধান্তে দ্রুত অভিনন্দন ভারতে ফিরে এসেছিলেন। তার পর থেকে দু’দেশের কূটনৈতিক বাতাবরণ কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছিল।

পিটিআইয়ের অন্দরে বিদ্রোহ, পিএমএল(এন), পাকিস্তান পিপলস পার্টি, মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমল, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের মতো বিরোধী দলগুলির নজিরবিহীন জোট এবং পাক সুপ্রিম কোর্টের ধারাবাহিক ভর্ৎসনায় বিদ্ধ ইমরান ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। দেশজোড়া তুমুল অর্থনৈতিক সঙ্কটের জেরে সে সময় তাঁর জনসমর্থনও তলানিতে ঠেকেছিল। এর পর একাধিক মামলায় অভিযুক্ত করে তাঁকে জেলে পাঠানো হয়। ইমরান অনুগামীদের অভিযোগ, পাক সেনার একাংশের চক্রান্তে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে। তাঁর নামের সঙ্গে ‘প্রত্যাবর্তন’ শব্দটি জুড়ে গিয়েছিল তিন দশক আগেই। অবসর ভেঙে ২২ গজের লড়াইয়ে ফিরে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে জেতানোর পর। এ বার দেশের প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর তিন বছরের মাথায় কি নোবেল শান্তি পুরস্কারে ‘ভর করে’ কামব্যাক ইনিংস খেলবেন ‘ক্যাপ্টেন’?

Nobel Prize Nobel Peace Prize
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy