Advertisement
০২ মে ২০২৪

হিন্দু-বিরোধী বলেও নিশানা করবিনকে

গত কাল বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা করবিনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন দেশের প্রধান র‌্যাবাই এফ্রাম মার্ভিস। আজ মার্ভিসের সমর্থনে মুখ খুললেন ব্রিটেনের হিন্দু কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা অনিল ভানোত।

জেরেমি করবিন। —ফাইল চিত্র

জেরেমি করবিন। —ফাইল চিত্র

শ্রাবণী বসু
লন্ডন শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:২৬
Share: Save:

ভোটের আগে ফের কোণঠাসা জেরেমি করবিন।

গত কাল বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা করবিনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন দেশের প্রধান র‌্যাবাই এফ্রাম মার্ভিস। আজ মার্ভিসের সমর্থনে মুখ খুললেন ব্রিটেনের হিন্দু কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা অনিল ভানোত। র‌্যাবাইয়ের মত ছিল, লেবার পার্টি ‘বহু জাতি’, ‘বহু সংস্কৃতির’ কথা বললেও তাদের দলে অনেকেই ইহুদি-বিদ্বেষী। আর হিন্দু কাউন্সিলের তরফে অনিল জানিয়েছেন, শুধু ইহুদি-বিদ্বেষী নয়, লেবার নেতা করবিন এবং তাঁর দল হিন্দু-বিরোধীও বটে।

প্রধান র‌্যাবাইকে লেখা একটি চিঠিতে অনিল জানিয়েছেন, মার্ভিসের উদ্যোগকে তিনি সাধুবাদ দিচ্ছেন। এই সূত্রেই হিন্দু কাউন্সিলের নেতা বলেছেন, ‘‘আমরা ওদের সঙ্গে একমত। লেবার পার্টি ইহুদি-বিদ্বেষী এবং হিন্দু-বিরোধী হয়ে উঠেছে।’’

হিন্দু কাউন্সিলের দাবি, কিছু দিন আগে দীপাবলির সময়ে লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশনের বাইরে যে ‘ভারত-বিরোধী প্রতিবাদ’ হচ্ছিল, সেখানে লেবার পার্টির বেশ কয়েক জন সদস্যকে দেখা গিয়েছিল। কাশ্মীরের পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সেখানে প্রতিবাদ দেখানো হচ্ছিল। মানবাধিকার রক্ষার বিভিন্ন গোষ্ঠী ছাড়াও সেখানে ছিলেন কাশ্মীরি, ব্রিটিশ পাকিস্তানি এবং কয়েক জন শিখ।

অনিল ভানোত চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছেন, কেন জেরেমি করবিন তাঁর দলের সদস্যদের কিছু বলেননি। ‘‘ভারত-বিরোধী প্রতিবাদ ক্রমে হিন্দু-বিরোধী প্রতিবাদের চেহারা নিয়েছিল। জেরেমি করবিন সব দেখেশুনে চুপ করে ছিলেন। দীপাবলির মতো পবিত্র দিনকে নিশানা করেছিল বিক্ষোভকারীরা। তাতে সমর্থন জানিয়েছিলেন লেবার পার্টির কিছু সদস্য এবং কয়েক জন এমপি। এখানেই শেষ নয়। প্রধানমন্ত্রী, বিদেশ দফতর এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে হিন্দুদের নিন্দা করে তাঁরা চিঠিও লিখেছেন।’’

হিন্দু কাউন্সিলের ওই চিঠিতে আরও দাবি, ‘‘এই দেশে সাম্যের যে ধারণার সঙ্গে আমরা পরিচিত, কাশ্মীরে সংখ্যাগুরু মুসলিমদের জন্য বিশেষ মর্যাদা থাকায় সেই সাম্যের ধারণা নষ্ট হয়েছে। তা সত্ত্বেও লেবার এমপি-দের একটা বড় অংশ ভারত সরকারের সাম্য প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ সম্পর্কে নিন্দা করে চিঠি লিখেছেন। ইসলাম-ভীতি নিয়ে করবিন সব সময় কথা বলেন। অথচ ইহুদি-বিদ্বেষ বা হিন্দু-বিরোধিতা নিয়ে আপত্তি ওঠে না।’’

ইতিমধ্যে খলিস্তানের পক্ষে থাকা ব্রিটেনের একটি শিখ গোষ্ঠীও বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ইসলাম-ভীতি ও ইহুদি-বিদ্বেষ নিয়ে কথা হলেও শিখরা একেবারেই উপেক্ষিত। ব্রিটেনের শিখ ফেডারেশনের ভাই অমৃক সিংহ বলেছেন, শিখরা বরাবরই অবহেলার শিকার। তাঁর কথায়, ‘‘বিশ্বজুড়ে শিখরা চোখে পড়ার মতো একটা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। আমাদের ধর্মস্থানে হামলা হয়েছে। শিখরা প্রাণ হারিয়েছেন। আমাদের অনেকেই ‘অন্য ধর্মের’ বলে ভাবা হয়।’’ এই সংগঠনটি বিদেশ-ভীতির বিরুদ্ধে একটি সর্বদল বৈঠক ডেকেছে।

কূটনীতিকদের মতে, ব্রিটেনের ভোটে এর আগে কখনও ধর্ম এত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পৌঁছয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Hindu Council Jeremy Corbyn Britain
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE