বিপন্ন শৈশব। আলেপ্পোয় এএফপির তোলা ছবি।
গোলাগুলি চলছেই। আর তার বলি নাগরিকরাই। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের বিমান হানায় রবিবার অন্তত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন সূত্রের খবর। তুরস্কের দাবি, জারাবলুস শহর-লাগোয়া গ্রামগুলির দখল নিতে তারা জঙ্গিদেরই মেরেছে। সংখ্যাটাও ২৫-এর বেশি নয়।
ঘাঁটি আগলে পড়ে থাকা আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীকে জবাব দিতে এবং সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে গত বুধবারই সীমান্ত অতিক্রম করে ওই এলাকায় সাঁজোয়া গাড়ি পাঠায় তুরস্ক। কিন্তু ওখানে কুর্দ বাহিনীর ভিতও শক্ত। এলাকার দখল নিতে মরিয়া তারাও। তুরস্কের দাবি, শনিবার তাদের সাঁজোয়া নিশানা করেই ব্যাপক হামলা চালায় কুর্দ যোদ্ধারা। যাতে মারা গিয়েছেন এক তুর্কি সেনা। সিরিয়া অভিযানে নেমে এই প্রথম। আহত আরও তিন। কুর্দ রকেট হানায় তছনছ হয়ে গিয়েছে তুরস্কের অন্তত তিনটি সাঁজোয়া গাড়ি।
কূটনীতিক মহলের একাংশের দাবি, এতেই আরও খাপ্পা হয়ে উঠেছে তুর্কি সেনা। পড়শি দেশ সিরিয়াকে ‘জঙ্গিমুক্ত’ করতে বদ্ধপরিকর তারা। একই সঙ্গে জঙ্গিদের ছেড়ে যাওয়া এলাকাগুলি যাতে কুর্দ বাহিনীর হাতে না চলে যায়, তা-ও নিশ্চিত করতে চায় তুরস্ক। সূত্রের খবর, তুরস্কের পিছনে রাশিয়ার প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে। আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তুরস্ক মার্কিন-জোটেরই অংশ। কিন্তু তারা এ বার যে হেতু কুর্দ-বাহিনীর বিরুদ্ধেও হামলা চালাচ্ছে, তাই সমঝে চলতে চাইছে ওয়াশিংটনও। আমেরিকার দাবি, সিরিয়া এমনিতেই যুদ্ধবিধ্বস্ত। তুরস্কের কারণে তারা আর জটিলতা বাড়ানোর পক্ষপাতী নয়। তবু পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ারই আশঙ্কা করছে একাধিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন।
তাদের দাবি, রবিবার জারাবলুস থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে জেব এল-কুসায় তুরস্ক যে বোমাবর্ষণ করেছে তাতে অন্তত ২০ জন মারা গিয়েছেন। আল-আমেরনেহ শহরে আরও ১৫ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy