আমেরিকায় সোনা রফতানির ক্ষেত্রে কোনও শুল্ক দিতে হবে না। সোমবার সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে এমনই জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একটি বাক্যের পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘সোনার উপর শুল্ক চাপছে না।’ এর অতিরিক্ত কিছু জানাননি তিনি। হোয়াইট হাউসের তরফেও এই প্রসঙ্গে সবিস্তার কিছু জানানো হয়নি। তবে বিভিন্ন পণ্যের উপর চড়া হারে শুল্ক আরোপ করলেও কেন সোনাকে ছাড় দেওয়া হল, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, সোনার উপর কতটা শুল্ক ধার্য করা হবে, তা নিয়ে বিভ্রান্ত ছিল আমেরিকার শুল্ক এবং সীমান্ত সুরক্ষা সংস্থাও (ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার গার্ড প্রোটেকশন এজেন্সি বা সিবিপি)। সম্প্রতি এই সংস্থার ওয়েবসাইটে জানানো হয়, বিভিন্ন দেশ থেকে আমেরিকায় রফতানি হওয়া পণ্যে আলাদা আলাদা শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। তার পর এই বিভ্রান্তি চরমে ওঠে। গত ৮ অগস্ট আমেরিকায় সোনার দাম ‘রেকর্ড’ ছোঁয়।
আরও পড়ুন:
আমেরিকায় অনেকেই সোনায় অর্থ বিনিয়োগ করে থাকেন, কেনেন সোনার বার। কিন্তু ট্রাম্প সোনার উপরেও চড়া শুল্ক আরোপ করবেন, এই আশঙ্কায় সোনার দাম হঠাৎই আকাশ ছুঁয়ে ফেলে। বিনিয়োগকারীরাও সোনার উপর থেকে হাত গোটাতে থাকেন। এর আগে ট্রাম্প এক বার জানিয়েছিলেন, অন্য দেশ থেকে আমেরিকায় সোনার বার আমদানির ক্ষেত্রে কোনও শুল্ক দিতে হবে না। কিন্তু তার পর বেশ কয়েক দফায় বিভিন্ন দেশ এবং পণ্যের উপর শুল্কের পরিমাণ জানানো হলেও শুল্ক নিয়ে কিছু বলা হয়নি হোয়াইট হাউসের তরফে।
এই আবহে গত শুক্রবার ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স-কে জানানো হয়েছিল, আমেরিকায় সোনা আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক আরোপ নিয়ে ‘ভুল খবর’ ছড়ানো হচ্ছে। খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে সরকারি ঘোষণা করা হবে বলেও জানানো হয়। তার পরেই সোমবার সোনার উপর কোনও শুল্ক আরোপ হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিলেন ট্রাম্প। আমেরিকার এই ঘোষণায় ভারত এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সোনার দামে বড় হেরফের হবে কি না কিংবা অর্থনৈতিক কোনও প্রভাব পড়বে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।