গুগলের হোমপেজ কাওয়ালির সুরে আচ্ছন্ন। ডুডলের হাত ধরে স্মরণে কিংবদন্তি পাকিস্তানি গায়ক নুসরত ফতেহ আলি খানের ৬৭ তম জন্মদিন। ভারত, পাকিস্তান, জাপান, সুইডেন, ঘানা ও কেনিয়ায় মঙ্গলবার গুগ্ল-এর হোমপেজ খুললেই চোখে পড়বে গানে মগ্ন কাওয়ালি সম্রাটের ছবি।
১৯৪৮-এর ১৩ অক্টোবর, প়়ঞ্জাবের ফয়সলাবাদে জন্মগ্রহণ করেন নুসরত ফতেহ আলি। কাওয়ালির মোড়কে আধ্যাত্মিক সঙ্গীতকে আন্তর্জাতিক স্তরে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন তিনি। তাঁর স্টারডম প্রশ্নাতীত। ট্রাডিশনাল সুফি সঙ্গীতে একই সঙ্গে দর্শক শ্রোতাকে নাচিয়েছেন, হাসিয়েছেন, কাঁদিয়েছেনও। তাঁর এক একটা কনসার্ট প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলত।
গায়ক বাবার ইচ্ছা ছিল ছেলে হবে ডাক্তার। কিন্তু, সে পথে হাঁটেননি নুসরত ফতেহ আলি। কাওয়ালিতেই জীবনের মানে খুঁজে পেযেছেন। স্বকীয় কায়দায় তৈরি করেছেন নিজস্ব ঘরানা। একমাত্র আকাশই যার সীমানা।
নুসরত ফতেহ আলি খানের হিপনোটিক কণ্ঠ, সুর টানা তিন দশক রাজ করেছে পাকিস্তানি ফিল্মি জগত্। সীমান্তের কাঁটাতারে আবদ্ধ থাকেনি তাঁর সঙ্গীত।‘পিয়া রে’- আবেদনে মজেছে এ দেশ, বলিউডও।
১৯৯৭-এ মাত্র ৪৮ বছর বয়সে ওবেসিটি-র কারণে মারা যান তিনি।
স্রষ্টার মৃত্যু হয়, সৃষ্টির নয়। আর সুর তো অবিনশ্বর। যত দিন পৃথিবীতে সঙ্গীত টিকে থাকবে তত দিন শ্রোতাদের মনে অমর হয়ে থাকবেন প্রজন্মোত্তর সঙ্গীতকার নুসরত ফতেহ আলি খান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy