Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ফের ঋণ পেতে কড়া শর্ত মানতে নারাজ গ্রিস

অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে আরও এক দফা ঋণের দিকেই তাকিয়ে গ্রিস। তবে তার জন্য ইউরোপীয় ঋণদাতা বা আইএমএফের বেঁধে দেওয়া কোনও ‘অযৌক্তিক’ শর্ত তাঁরা মেনে নেবেন না বলে শনিবার স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস। ঋণদাতাদের সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে এই নীতিতেই গ্রিস এককাট্টা থাকবে বলে দাবি তাঁর।

প্রবীণদের বিক্ষোভ। খরচ কমাতে ক্রমাগত পেনশন কাটছাঁট করার সরকারি নীতির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি আথেন্সে। ছবি:রয়টার্স

প্রবীণদের বিক্ষোভ। খরচ কমাতে ক্রমাগত পেনশন কাটছাঁট করার সরকারি নীতির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি আথেন্সে। ছবি:রয়টার্স

সংবাদ সংস্থা
আথেন্স শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:১৩
Share: Save:

অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে আরও এক দফা ঋণের দিকেই তাকিয়ে গ্রিস। তবে তার জন্য ইউরোপীয় ঋণদাতা বা আইএমএফের বেঁধে দেওয়া কোনও ‘অযৌক্তিক’ শর্ত তাঁরা মেনে নেবেন না বলে শনিবার স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস। ঋণদাতাদের সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে এই নীতিতেই গ্রিস এককাট্টা থাকবে বলে দাবি তাঁর।

ইউরোপের বিভিন্ন ঋণদাতা দেশ ও আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (আইএমএফ)-এর কাছ থেকে আর্থিক ত্রাণ বাবদ ৮৬০০ কোটি ইউরো (প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকা) হাতে পেলে তবেই ৭২০ কোটি ইউরো-র ঋণ মেটাতে পারবে তারা। এই গ্রীষ্মের মরসুমেই তা শোধ করার কথা। তবে এর জন্য ঋণদাতাদের দাবি, আর্থিক সংস্কারের পথে হেঁটে করের আওতা আরও বাড়ানো ও পেনশন খাতে খরচ ছাঁটাই করতে হবে গ্রিসকে। কিন্তু ২০১০ সালে আর্থিক সঙ্কট শুরুর সময় থেকে এ পর্যন্ত ১১ দফায় পেনশন কমিয়েছে গ্রিস। কৃচ্ছ্রসাধনের জেরে ইতিমধ্যেই নাজেহাল গ্রিক জনগণের উপর তাই আর কোপ বসাতে চান না সিপ্রাস। এ দিন নিজের দল বামপন্থী সিরিজা পার্টির সভায় এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘যুক্তিসঙ্গত বিষয় নিয়ে আলোচনায় আমরা তৈরি। কিন্তু তার বাইরে, বা বিপুল অঙ্কের খরচ কমানোর দায় চাপিয়ে দিলে তা নিয়ে কথা বলব না আমরা।’’

প্রসঙ্গত, ইউরোপীয় ঋণদাতা ও আইএমএফের দাবি, ২০১৮ সালের মধ্যে আরও কড়া আর্থিক সংস্কারের পথে হাঁটতে হবে গ্রিসকে। এর আওতায় থাকবে কর বাড়ানো ও পেনশন কমানো খাতে জাতীয় আয়ের ১ শতাংশ বরাদ্দ করা, যার অঙ্ক দাঁড়াবে ১৮০ কোটি ইউরো। পরের দফাতেও একই পরিমাণ বেঁধে দিয়েছে তারা। আর, এখানেই আপত্তি সিপ্রাসের। কারণ, সাধারণ মানুষ এই সরকারি নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষুব্ধ। নীতিগত ভাবেও তাদের আরও দুর্দশার দিকে তিনি ঠেলে দিতে চান না বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর।

আইএমএফের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে সিপ্রাস বলেছেন, তারা বরাবরই গ্রিসের উপর অযৌক্তিক দাবি চাপিয়ে দেয়। ‘কাপুরুষের’ মতো সব সময়েই দোষারোপ করে তাদের।

গত ২০১৫ সালেও ইউরোপীয় ইউনিয়নে টিকে থাকতে ঋণদাতাদের কড়া শর্ত মেনে আর্থিক ত্রাণ নিতে বাধ্য হয় গ্রিস। তারপর এ নিয়ে তৃতীয় দফার ত্রাণ পেতেই চুক্তি করতে চলেছে অর্থ সঙ্কটে জর্জরিত গ্রিস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Greece Loan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE