ত্রাণের জাহাজ নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন গাজ়ায়। কিন্তু গন্তব্যের অনেক আগেই তাঁদের আটকে দেয় ইজ়রায়েলি নৌবাহিনী। বেশ কয়েক দিন আটকে রাখার পরে অবশেষে গতকাল সুইডিশ পরিবেশবিদ তথা মানবাধিকার কর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে প্রত্যর্পণ করেছিল বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রশাসন। আজ গ্রিসের এথেন্স বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয় গ্রেটাদের বিমান।
বিমানবন্দরে গ্রেটাদের স্বাগত জানাতে হাজির হন বহু মানুষ। সবাই গ্রেটার কাছে জানতে চান, সত্যিই কি বন্দি করে রাখা হয়েছিল তাঁকে? তাঁর চুল টেনে ধাক্কা মেরে ঘরে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল? বাধ্য করা হয়েছিল ইজ়রায়েলের পতাকা চুম্বন করতে?
গ্রেটা বলেন, ‘আমার সঙ্গে, আমাদের সঙ্গে কী হয়েছিল, সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। আমাদের বরং ভাবা দরকার, ওখানে কী হচ্ছে। আমাদের সকলের চোখের সামনে, আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে ইজ়রায়েল ওখানে গণহত্যা চালাচ্ছে। বিভিন্ন দেশের দায়িত্ব, ইজ়রায়েলের উপরে চাপ বাড়িয়ে, তাদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে এই গণহত্যা বন্ধ করা। আমরা কিন্তু সে রকম কিছুই দেখছি না। গাজ়ার বিষয়ে বিভিন্ন দেশ তাদের ন্যূনতম দায়িত্বটুকু পালন করছে না।”
নাম না করলেও এটা স্পষ্ট যে, গ্রেটার সমালোচনার তির আমেরিকার দিকেই। কারণ, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মুখে শান্তির কথা বললেও আমেরিকা ইজ়রায়েলকে লাগাতার অস্ত্র সরবরাহ করে চলেছে। আজ গ্রেটা প্রসঙ্গে ট্রাম্প পাল্টা বলেন, “ওর মনে হয় মাথার ব্যামো আছে, ডাক্তার দেখানো দরকার। সব কিছুতে ঢুকে পড়ে গন্ডগোল পাকায়। আগে পরিবেশ নিয়ে কথা বলত। এখন আর সে সব নিয়ে কিছু বলে না। কিন্তু কোনও কারণ ছাড়াই রেগে যায়।”
এ দিকে, ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তি বাস্তবায়িত করতে মিশরে আলোচনায় বসেছেন ইজ়রায়েল ও হামাসের প্রতিনিধিরা। তার মধ্যেই মধ্য গাজ়া ভূখণ্ডে ইজ়রায়েলি হানায় আজ একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)