অপেক্ষা শুধু হোয়াইট হাউসের সিলমোহরের। এইচ১বি ভিসায় প্রস্তাবিত বদল আনা হবে তার পরেই। সে ক্ষেত্রে বিপাকে পড়বেন এইচ১বি ভিসায় আমেরিকায় কর্মরত কমপক্ষে ৯০ হাজার বিদেশির স্ত্রী বা স্বামীরা। এর সিংহভাগই ভারতীয়। স্বামী বা স্ত্রী এইচ১বি ভিসায় কাজ করলে, তাঁদের স্ত্রী বা স্বামীরাও এত দিন এইচ-৪ ভিসায় আমেরিকায় চাকরি করতে পারতেন। নতুন নিয়মে সেই সুযোগ আর পাবেন না তাঁরা।
হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটি থেকে হোয়াইট হাউসের ‘অফিস অব ম্যানেজমেন্ট ফর বাজেট’-এ এই সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে বুধবার। হোয়াইট হাউস চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলে নির্দেশিকা জারি হবে। তার আগে একাধিক দফতরের সঙ্গে কথা বলে দেখবে হোয়াইট হাউস। বিষয়টি মিটতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস লাগতে পারে বলে জানিয়েছে ‘ইউএস সিটিজ়েনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস’। মার্কিন আইন অনুযায়ী, হোয়াইট হাউস ছাড়পত্র দিলে ৩০ দিনের ব্যবধানে ফেডেরাল রেজিস্টারে নতুন নিয়মটি নথিভুক্ত করা হয়।
এই বদল-প্রস্তাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সায় রয়েছে বলেই খবর। ফলে হোয়াইট হাউসের ছাড়পত্র পেতে বিশেষ বেগ পেতে হবে না বলেই অনুমেয়। যদিও সিলিকন ভ্যালির সংস্থাগুলি, ডেমোক্র্যাট সেনেটর কমলা হ্যারিস নয়া নিয়মের বিরোধিতা করছেন। তাঁদের বক্তব্য, এই পরিবর্তন পুরোপুরি নারী-বিরোধী। এতে এইচ১বি ভিসায় কর্মরত ব্যক্তিদের স্ত্রী বা স্বামীরা যথেষ্ট যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও আমেরিকায় কাজ করতে পারবেন না।
‘সেভ জবস ইউএস’ নামে একটি সংস্থা এইচ১বি ভিসায় বদলের দাবিতে কলম্বিয়ার আদালতে আবেদন জানিয়েছিল। বিচারপতি শ্রী শ্রীনিবাসন-সহ তিন সদস্যের বেঞ্চে ওঠে মামলাটি। মাঝে এক মাসের বেশি শাটডাউন চলায় আদালতের কাছে সময় চায় হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটি। ধীর গতিতে মামলা এগোনোয় হতাশ ‘সেভ জবস ইউএস’ নামে সংগঠনটি।