মহম্মদ মুইজ্জু। —ফাইল চিত্র।
পাঁচ দিনের চিন সফর শেষ করে দেশে ফেরার পরেই সুর বদলের ইঙ্গিত দিলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে সম্প্রতি তিন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করেছিল মলদ্বীপ সরকার। সেই বিতর্কের আবহেই শনিবার একটি বিবৃতি দিয়ে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট জানান, কাউকে চমকানোর অধিকার দেয়নি তাঁর সরকার। বিবৃতিতে কোনও দেশের নাম না করা হলেও মনে করা হচ্ছে, ভারতকে উদ্দেশ্য করেই এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুইজ্জু।
শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুইজ্জু বলেন, “হতে পারি আমরা ক্ষুদ্র। কিন্তু তাই বলে কাউকে চমকানোর ছাড়পত্র দিয়ে দিইনি আমরা।” সমাজমাধ্যমে ভারতীয় নেটাগরিকদের ‘বয়কট মলদ্বীপ’-এর ঠেলা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্র। আগে থেকে মলদ্বীপে ঘুরতে যাওয়ার বিমান-হোটেলে টিকিট বুক করে রাখার পরেও তা বাতিল করে চলেছেন একের পর এক ভারতীয়। ক্রমে সেই সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই আবহে মুইজ্জুর ‘চমকাবেন না’ হুঁশিয়ারিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। মলদ্বীপের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এমনিতেই ‘চিনপন্থী’ বলে পরিচিত মুইজ্জু চিন সফরের পরেই ভারত সম্পর্কে অপেক্ষাকৃত নরম সুর বদলে চরম পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিলেন কি না, উঠছে সেই প্রশ্নও।
পাঁচ দিনের চিন সফরের তৃতীয় দিনে গত বুধবার জিনপিংয়ের সঙ্গে রাজধানী বেজিংয়ে বৈঠক করেন মুইজ্জু। সেখানেই ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতের আবহে মলদ্বীপের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন চিনা প্রেসিডেন্ট তথা কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষনেতা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই বৈঠকেই বেজিংকে তাঁদের ‘পুরনো বন্ধু এবং ঘনিষ্ঠতম সহযোগী’ বলেন মুইজ্জু। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক আর্থিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা সংক্রান্ত কয়েকটি চুক্তি সই হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy