Advertisement
E-Paper

মন্ত্রীকে নোটিস হাফিজের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক’দিন আগেই বলেছেন, সন্ত্রাস দমনের জন্য তাঁর দেশ থেকে বিপুল আর্থিক সাহায্য পাওয়া সত্ত্বেও ‘মিথ্যাচারী’ পাকিস্তান উল্টে জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়ে চলেছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:০৯
হাফিজ মহম্মদ সইদ।

হাফিজ মহম্মদ সইদ।

পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলার নোটিস পাঠাল লস্কর-ই-তইবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ মহম্মদ সইদ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক’দিন আগেই বলেছেন, সন্ত্রাস দমনের জন্য তাঁর দেশ থেকে বিপুল আর্থিক সাহায্য পাওয়া সত্ত্বেও ‘মিথ্যাচারী’ পাকিস্তান উল্টে জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়ে চলেছে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পাকিস্তানকে একাধিক আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া বন্ধ করেছে আমেরিকা। তবে ট্রাম্পের ওই অভিযোগের পরেই গত সোমবার হাফিজের প্রতিষ্ঠিত আরও দুই সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া এবং ফলাহ-ই-ইনসানিয়ত-সহ কয়েকটি গোষ্ঠীর তহবিল সংগ্রহের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপায় পাক সরকার। প্রতিরক্ষামন্ত্রী খুররম দস্তগির সেই সময়ে বলেছিলেন, ‘‘জঙ্গিরা আর যাতে স্কুলের বাচ্চাদের গুলি করতে না পারে, সেই কারণেই জামাত-উদ-দাওয়া, ফলাহ-ই-ইনসানিয়ত এবং অন্যান্য সংগঠনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’

তার জেরেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন সইদের আইনজীবী এ কে ডোগর। নোটিসে বলা হয়েছে, মন্ত্রীর ওই ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ মন্তব্যের জন্য হাফিজ এবং জামাত-উদ-দাওয়ার ‘প্রবল সম্মানহানি’ হয়েছে। তাই ১৪ দিনের মধ্যে মন্ত্রীর তরফ থেকে সইদের কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি পাঠাতে হবে। অঙ্গীকার করতে হবে যে, সরকার ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবে। অন্যথায় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা শুরু হবে। পাক দণ্ডবিধির ৫০০ ধারার সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে দু’বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে নোটিসে। ২৬/১১ হামলার পাণ্ডা হাফিজের আইনজীবীর আরও দাবি, রাষ্ট্রপুঞ্জ যে ভাবে জামাত-উদ-দাওয়াকে নিষিদ্ধ করেছে, তা সম্পূর্ণ বেআইনি। এই সংগঠনের সঙ্গে লস্করের কোনও যোগ নেই। যদিও ভারত-সহ বহু দেশই মনে করে, জামাত-উদ-দাওয়া এবং ফলাহ-ই-ইনসানিয়ত আদপে লস্করেরই দুই প্রকাশ্য সংগঠন।

পাক সরকারের নির্দেশে বলা হয়েছিল— জামাত-উদ-দাওয়া, ফলাহ-ই-ইনসানিয়ত এবং আরও যে সমস্ত সংস্থার উপরে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেগুলিকে কেউ কোনও অনুদান দিতে পারবে না। ব্যক্তিগত ভাবেই হোক বা কোনও সংস্থার তরফে, কোনও ভাবেই এদের তহবিলে টাকা দেওয়া চলবে না। একই নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে পাকিস্তানের ‘সিকিওরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন’ (এসইসিপি)-ও।

পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, আমেরিকার চাপেই পাকিস্তান কড়া পদক্ষেপ করেছে, এমন মনে করার কারণ নেই। গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার পরেই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

Hafiz Muhammad Saeed Lashkar-e-Taiba হাফিজ মহম্মদ সইদ লস্কর-ই-তইবা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy