প্রতীকী ছবি
বাণিজ্য চুক্তি থেকে কোভিড-১৯ অতিমারি। চিনের সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের সম্পর্কের ফাটল বাড়ছিল। কনসুলেট বিতর্ক সেই ফাটল আরও চওড়া করেছে সম্প্রতি। গত শুক্রবার চিনের চেংদুতে আমেরিকার কনসুলেট খালি করার নির্দেশ দিয়েছিল চিন। আজ সেই কনসুলেটের সামনে অর্ধনমিত করা হল মার্কিন জাতীয় পতাকা। কনসুলেট চত্বরের সিসিটিভি ফুটেজের সেই দৃশ্য দেখা গিয়েছে চিনের টিভি চ্যানেলে।
চেংদুর মার্কিন কনসুলেট খালি করার নির্দেশ বেজিংয়ের আচমকা সিদ্ধান্ত ছিল না। তার আগেই হিউস্টনের চিনা কনসুলেট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। আমেরিকার অভিযোগ ছিল, ওই কনসুলেটের মাধ্যমে মার্কিন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নথি তথা বৌদ্ধিক সম্পত্তি চুরি করছে বেজিং। যার পাল্টা হিসেবে চেংদুর মার্কিন কনসুলেট খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় চিনের সরকার। নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ করে চিনা বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল, চেংদুর কনসুলেটে থাকা মার্কিন আধিকারিকেরা চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছেন। যা চিনের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নিরাপদ নয়।
আমেরিকা যেমন চিনকে তিন দিন সময় দিয়েছিল, কনসুলেট খালি করতে পাল্টা বেজিং মার্কিন আধিকারিকদের কতটা সময় দিয়েছিল, তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু চিনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত সপ্তাহান্তে একের পর এক ট্রাক এসে কনসুলেটের জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। সাফাইকর্মীদের চত্বর পরিষ্কারও করতে দেখা গিয়েছে। আজ সকাল থেকে কনসুলেট যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে পুলিশ। কিছু মার্কিন আধিকারিকে আজ ভোর ছ’টা নাগাদ কনসুলেট চত্বর থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। আর কোনও প্রতিনিনিধি সেখানে রয়েছেন কি না, স্পষ্ট নয়। কনসুলেট নিয়ে এই টানাপড়েনের ফল যে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষে ভাল হবে না, তা নিয়ে সম্পাদকীয়তে আজ হুঁশিয়ারি দিয়েছে গ্লোবাল টাইমস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy