আমেরিকার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেল হামাস। এমনই খবর সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে। আমরিকার বিশেষ রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ গাজ়ায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নয়া প্রস্তাব দিয়েছিল প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে। সেই প্রস্তাব মেনে নেওয়া হয়েছে রয়টার্সকে জানিয়েছেন এক প্যালেস্টাইন কর্তা। অনেকের মতে, এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে যুদ্ধের অবসানের সম্ভাবনার পথ আরও সুগম হবে।
কী রয়েছে নতুন প্রস্তাবে? জানা গিয়েছে, ৭০ দিনের যুদ্ধবিরতি হবে হামাস এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে। এই যুদ্ধবিরতির মধ্যে ১০ জন পণবন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস। রয়টার্স সূত্রে খবর, ৭০ দিনের যুদ্ধবিরতি চলাকালীন গাজ়ার নির্দিষ্ট অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে ইজ়রায়েল। একই সঙ্গে বেশ কয়েক জন বন্দি প্যালেস্টাইনিকে মুক্তিও দেবে তারা। তবে এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে এখনও পর্যন্ত ইজ়রায়েলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের আল কাশিম ব্রিগেড ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালানোর পরে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ফৌজ ধারাবাহিক ভাবে গাজ়ায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এর পর কাতারের মধ্যস্থতায় এবং আমেরিকা ও মিশরের প্রচেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি রাতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিল ইজ়রায়েল সরকার এবং হামাস। ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরও হয়েছিল। কিন্তু পণবন্দি মুক্তি ঘিরে টানাপড়েনের জেরে মার্চের গোড়ায় একতরফা ভাবে যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজ়ায় আবার হামলা শুরু করেছে ইজ়রায়েলি সেনা। তার পর থেকে প্রায় প্রতি দিনই গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলা চলছে। সোমবার ইজ়রায়েলের বিমানহানায় গাজ়ায় ৪৬ জন নিহত এবং ৫৫ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে একটি স্কুলে তৈরি করা অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে একাধিক শিশুও। শুধু তা-ই নয়, গাজ়ায় খাদ্যসঙ্কটও দেখা গিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ অনাহারে প্রাণ হারাতে পারেন, এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে বিভিন্ন রিপোর্টে। সেই আবহে যুদ্ধবিরতি হলে কিছুটা স্বস্তি হবে বলেই মনে করছেন অনেকে।